জীবনতরী-১২


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


নোদির বাঁকে বাঁকে, ভিড়াই তরীটাকে
অজান্তে এক ফাঁকে, মন দিয়েছি ফুলে
এনেছি আমি তুলে, দোলাই তরীখানি
শুনিনি আত্মবাণী, করেছি হেলা তাকে।


তরীটা আনফলে, ভরেছি নিজ বলে
ভাসাই নোনা জলে, নোদির ঢেউ পেয়ে
চলছি তরী বেয়ে, তরঙ্গ আসে তেড়ে
সকল নিলো কেড়ে , নানান রূপ ছলে।


জীবন মধুমাসে, প্রাণেরতরী ভাসে
যোয়ারে পরবাসে, তরঙ্গ ভরা গাঙ্গে
ঢেউ দোলায় ভাঙ্গে, কাঁচা কাঠের নাও
কি সুখ মন পাও, আত্ম-সুখেররাসে।


প্রাণেরতরী যার, হও ওমন তার
বিশ্ব-ভুবনটার, পরম স্রষ্টা তিনি
করো বিকিকিনি, হৃদয়মুক্তা দিয়ে
প্রেম-বাজারে গিয়ে,পরো প্রেমেরহার।


ডুবছে আয়ুবেলা, ভাঙবে সব খেলা
মিছে চাঁদের মেলা, এখনো খোঁজো তারে
যেজন মূলাধার , আপন হও তার
বিচারে পাবে পার, করো না তাকে হেলা।