প্রাণেরতরী-১৬


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


কে তুমি ডাক আমায় , আয় আয় পারে ,
যায়যায় দিন যায় , ঘোর অন্ধকারে ,
করিস না ধূলা খেলা ,
ঝেড়ে ফেলা , ইতিবেলা ,
ভাঙ্গবে চাঁদের  মেলা  , অবহেলা ছাড় ,
জীবন নদীর পাড় , তরী বৈঠে দাড় ,
জল-বেণী পাকে ,
ভাঙ্গবে সকল  কিছু  মহাকাল ডাকে ।


আসা যাওয়ার ঘাটে,  বেলা পাটে লাল ,
পার হয়ে যায় বাটে ,  একা চিরকাল  ,
কার-বা ইশার  পেলি ,
ভুলে গেলি , নেশা খেলি ,
অমর অমিয় ফেলি , পথ গেলি ভুলে ,
জীবন খাতাটি খুলে , দেখ তুই মূলে ,
কত তোর ভুল ,
মিথ্যে সব বেচাকেনা  ঠিক নেই  মূল ।


কে তুমি হৃদয় মাঝে , বারেবারে আস ,
সেই ভোর হোতে সাঁঝে , এত ভালোবাস ,
কি দিবো কিছু-ই নাই ,
শুধু হাই ,আছে তাই ,
তোমাকে তা দিতে চাই, নেও কৃপা করে ,
সারাটি জীবন ভরে , অন্ধকার ঘরে ,
হারিয়েছ মূল ,
এটা-ই এ জীবনের  মস্তবড় ভুল ।


বুঝেছি তুমি প্রাণেশ,  অশেষ করুণা ,
বিপদে তুমি ত্রাণেশ , অরুণ-বরুণা ,
কাজের ফসলে ভরি ,
যত্ন করি , ভাঙ্গা তরী ,
এখন আমি কি করি , মরি ভাবনায় ,
যাওয়া ভীষণ দায় , ভরা তরীটায়
নাই কোন ফাঁক ,
ডুবুডুবু তরীখানি জলে বড় পাক ।


একা আমি নিরুপায় , অবেলায় ঘাটে ,
নিয়ে যাও খেয়ানায় , আপনার বাটে ,
এ তরীতে চিরকাল ,
ভাঙ্গা হা'ল , ছেড়া পাল ,
বেসামাল চিরোকাল , সাথে কেউ  নাই  ,
তোমার তরীতে তাই , পারে যেতে চাই  ,
দীনহীন আমি আজ,
প্রাণেরতরীতে মাঝি  তুমি বিশ্বরাজ ।