প্রাণেরতরী-২২


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


প্রাণেরতরীর মাঝে আছে
এক রমনীর দু'টি রূপ,
আছেন তিনি নিদ্রায় চুপ,
ধবল বরণ এক স্বামী,
প্রেমের হাটে আসেন তিনি
স্বরূপের ধন সাথে নিয়ে,
সুজন রসিক হাটে গিয়ে,
ধরছে তাকে দিবস-যামী।


স্বামী ধরলে এগারো মাসে
তিনটি ছেলের জন্ম হয়,
নিরাকারে সে তরীতে রয়,
মাঝিকে নেয় আলোর পথে,
আমানিশায় পুরো জোছনা
তিন ছেলেকে ধরলে পরে,
অরূপ দেখে রূপের ঘরে,
সত্যে হয় প্রেম-বিনিময়।


ভাটির দেশে তরীটা বেলে
তিন ছেলে হয় রূপে কালো,
তরী ভাঙে তবু লাগে ভালো,
করি তাদের সঙ্গের সাথী।
বুঝিনি আমি কখনো মনে
ছয় গুনের ছেলে তিনটা,
রাহুতে খাওয়ায় দিনটা,
তবুও ভুলের মালা গাঁথী।


দু'জন গড়ে প্রাণের তরী
এক জন-ই তাদের মূল,
নিরাকার সে নয়কো ভুল,
ভুলেছি তাদের একেবারে।
তাইতো আমি সাঁঝেরবেলা
ভাঙাকূলে ভাঙাতরী নিয়ে,
সব কিছু তাকে সপে দিয়ে,
একা আমি বসে আছি পারে।