প্রাণেরতরী-৪৮


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


চাপা গাঙ্গের গভীর জলে
ভাসাই ছোট্টনাও ,
চলছে ভেসে দূরের দেশে
পেয়ে মৃদুল বাও ।
স্রোতের টানে প্রাণেরতরী
চলছে ভেসে ভেসে,
আত্ম সুখের দেদুল দোলে
নোংরা জলে মেশে।
বিবেকটাকে দিয়েছি ফাঁকি
জলের বাড়ি খেয়ে ,
ভেঙছি তরী নাবিক সেজে
ফাগুন বাও পেয়ে ।
বিবেক বলে আমার ঘাটে
আসবে তুমি ফিরে ,
এই কথাটি স্বরণ রেখ
ধরলে কালো ঘীরে ।
সৎকে ভুলে অসৎ পথে
বাইলে তরীখান,
জীবন সন্ধ্যা আসবে ধেয়ে
মারবে যমে বাণ।
বুঝিনি তবু তরীখানির
মালিক আমি নই,
বোকার মত আবেগ ভরে
আমার তরী কই,
সাধের তরী মাটিতে খাবে
প্রাণটা চলে গেলে,
দু'এক দিন এ দুদিয়ায়
আছি মোহের জেলে।
মোহের জেলে যন্ত্রণা পাই
তবু বাঁচার আশা,
বাঁচার জন্যে জীবন ভরে
খেলছি দাবাপাশা।
তরীর মাঝে বোঝাই করি
শুধু কাজেরফল,
জীবন ভরে খেয়েছি শুধু
মায়াবী হলাহল।
মালিক তুমি, তুমি নাবিক
বুঝছি শেষ বেলা,
তরী তোমার কূলেতে নেও
ভাঙবে বুঝি খেলা।