প্রাণেরতরী-৫১


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


প্রভাতী রবীর মিঠেল ক্ষরস্রোত
হয়ে যায় শুরু পথ চলার ব্রোত
নীরবে আলোরমালা গেঁথে যায়,
কিশোর রবীর রাগেলা কচি প্রাণ
মাতায় ভুবন দিয়ে বাঁচার ঘ্রাণ
ধীরে ধীরে আসে দুপুর আঙ্গিনায়।


দুরন্ত রোদের কঠিন ক্ষরতাপে
রোদের ঝিলিকে ধরাটা দেখি কাপে
ক্ষরাঘাতে আরো  মাত্তিকাটিও ফাঁটে,
এমনি জীবন রবীটা চৈতি রাগে
দিচ্ছে ক্ষরতাপ জীবন মধুবাগে
ভুলায় নিজের মরমি ঘরবাটি।


আবেগের সুরা নীরবে করে পান
পরিশেষে ভরে প্রাণেরতরীখান
রেচাকেনা করে নকলে দিনরাত,
আনন্দ সাগরে তরীটা বয়ে যায়
দু'খান দাড়ই টানিছে মহিমায়
টানে টানে দোলে সবল দু'টি হাত।


আলোকেরমালী নীরবে যাচ্ছে হেলে
বুঝেও বুঝেনা দেখেনা আঁখি মেলে
মলিন কিরণে দেখ সাঁঝের আলো
ভাঙ্গে সুরাঘুম শেষের গানে গানে
কপোল ভাষায় শুধুই অশ্রুবানে,
এই ধরাটাকে তবুও লাগে ভালো।


বাদল মেঘের গভীর ঘনঘটা
পুবাকাশে রঙধনুর রঙছটা
সাঁঝরা বেলার রাগানুরাগে আঁকে
এমনি সময় স্রষ্টকে সব দিয়ে
অচল অবল প্রাণেরতরী নিয়ে
অকূল সাগর পাড়িটা দিতে থাকে।


বাতাসের রাগে সাগরে উঠে ঢেউ
প্রাণেশ বিহীন বন্ধু থাকেনা কেউ
তাইতো তাহারে মরমে আমি স্বরি
সাঁঝনা বেলায় সাগর পাড়ি দিতে
প্রাণেশকে রাখি আমার মন-চিতে
জানি কুলে যাবে সাঁঝে প্রাণেরতরী।