স্বপ্নযাত্রা


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বমী


মোরগফুলের রঙ মাখা শিশুকে
প্রসব করে পোয়াতি রাত।
সেই শিশুটি যৌবনে সাদা রঙ মেখে
রোদের গুড়ি ঢেলে তপ্ত করে বালুর মাঠ
তারপর জন্ম নেয় মরু-হরিণ
খুলে যায় ফাগুন কপাট
মাশুকমন হয়ে যায় ঋতুরাজ,
খুঁজতে থাকে মরু-হরিণকস্তুরী।
ইচ্ছার মালা গাঁথে ভালোবাসার
চিকুন সুতায়
কিন্তু
সে মালা পরে চাঁদ হারা তারকা রাত,
বুঝে না অনুরাগী আবেগি মন,
তাই
ইচ্ছার খরোতাপে পুঁড়ে অবুঝ অত্মার
সবুজ শিস,
তবু
প্রেমের ঘোড়াটি দৌড়ায়
সমকালিন  বাতিকমাঠে,
খেলা শেষে হাটে তিন পায়
ঘোড়ার মালিক,
সাঁঝের গাঁ-টি  দেখে
কপালতলার নোদির জলে
কপোল ভাসায়।
পরিশেষে
সাগরবসনার মায়াজাল কাটে
জোস্নাখেঁকো দিঘল রাত,
শেষ হয় স্বপ্নযাত্রা।