তনুমুক্তা


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


আকাশাঙ্গিনায় দেয়া
যৌবনা তটিনী দোলে , রেতগতি শব্দরোলে
যাওয়া আসার খেয়া, পারের কড়িটা তোলে
মিছে ভূ-তে রৃপছটা,
দেহাকাশে তার ঘটা
জঞ্ঝা বাতাসের খেলা , ডুবাবে প্রাণের ভেলা
বিদ্যুতমালির জটা , সাঁঝনাতলার বেলা,
যেতে হবে তার রটা।


প্রাণের দোলায় দুলে
ঊষার আঙ্গিনা থেকে , পরকে অপর ডেকে
রঙ্গিন পালটি তুলে, আসল রঙটি ঢেকে
ভুলে যায় কুল কূল ,
জল বেগের গোলায়
নোদির বসন্ত রাগে , ভাটিয়ালি রাগ জাগে
জল-তরঙ্গ দোলায় , প্রেম জাগে মনবাগে
না ডুবায় দুলে দুলে।


তটিনী ভাদর ধারা
জলবেণীফুল পায় , রেতবেগে ছুটে যায়
মেতে উঠে মতিহারা , দেয়া ঝরা ঝঞ্ঝা বায়
বেয়ে যায় তবু না'টি ,
দখিনার ঝঞ্ঝা বায়
না'টিতে পালটা তুলে , গতটাকে ভুলে ভুলে
চাপাডাঙ্গা চলে যায় , তনুমুক্তা দেয় তুলে
জীবনটা করে মাটি।


তরঙ্গের চারুহাসী
কাব্যসুধা চিত্তে দানে , কুজনে কু-রস পানে
বাজায় প্রেমের বাঁশি , ভাদরের ভরা বানে
চিত্তদোষে নিত্য মরে,
চিত্তদাহে ইতিবেলা , ছোড়ভঙ্গে করে খেলা
আত্মগুনে থাকে ঘরে , সন্ধ্যানদে ডুবে ভেলা
ঐহিক ভবের পরে।