তারাবসনারতলা
(বিলিরিক ধারা তিন
কাঠামো দুই)


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোম্বামী


রূপসিনী কুলোবালা, রূপ দেখে মন ভোলো,
টানা টানা চোখ তার, বনোফুল কানে দোলে,
কুসুমিতা কলাবতী,
সুভাষিনী বধু সতী,
সুকোমল মনমতী, কপালিকা নররেণু,
দরশণে বাজে শুধু, অনুরাগী হরবেণু।


কলাবতী রাগ ধরে, দেখি আমি তারে যেই,
গানে গানে দেখি শুধু, আমি আর আমি নেই,
তারাবসনার তলা,
এলো চান ষোলোকলা,
রসে তার কথা বলা, ভালোবাসা দিয়ে যায়,
মৃদু মৃদু চলাফেরা, আলতাটি নিয়ে পায়।


কনে দেখা-আলোখনে, দেই তারে ফুলোহার,
ভালোবেসে সাতপাকে, এখনও আমি তার,
কবিতার সেই রাণী,
আমারই বীণাপাণি,
কবিতার দেয় বাণী, হৃদয়ের মাঝে থেকে,
ভুলে গেলে বারেবারে, অনুরাগে ডেকে ডেকে।


সৎ-মতি গুনোবতী, পরাসতী পরাজয়া,
নিশিদিন মন মাঝে, থাকে শুধু তার কায়া,
পারিজাত নাগরিণী,
কমলিনী ডাগরিণী,
মানবিকা সাগরিণী, ধরা পরে নেই আর,
চিরোকাল হয়ে রবো, ভালোবেসে আমি তার।


লেখা
১২ই জুন২০২০ইং
২৯শে জৈষ্ঠ-১৪২৭বাং  
সময়
রাত
১১ ঘটিকা।