ভাঙাতরী
(বিশ্বরাজরথ-
বিলিরিকের ধারা চার)
রাগঃ-কারফা
তালঃ- কাহারবা
মাত্রাঃ- ৪/৪
আবৃত্তিঃ-ধীরলয়


ঠাকুর বিশ্ববরাজ গোস্বামী


কাজ সব হলো সারা, যায়যায় আজ বেলা,
বাজ পড়ে বেগেবেগে, মেঘে মেঘে করে খেলা ,
আসে বাও বেগেবেগে,
ভাসে মেঘ রেগেরেগে,
ভয় মনে আছে লেগে, পাশে যম জান খাবে,
লয় হবে ঘর-বাড়ি, আজ বেলা ডুবে যাবে।


জলে ভরা নদ-নদি, বড় বড় খেলে ঢেউ,
ছলেবলে সব গেছে, কাছে আর নেই কেউ,
খেয়া আছে ভরাভরা,
দেয়া আছে নেই খরা ,
পড়ে রবে বাটি ধরা, নেয়া যাবে শুধু ফল ,
গড়ে গেছি ঘরবাড়ি, দেহে আজ নেই বল।  


তরী বেয়ে কেবা যাও , ফিরে আসো তুমি ঘাটে,
মরি আমি একা কূলে, বেলা দেখ গেছে পাটে,
জোরেজোরে তরী চলে,
শোরেে শোরে মাঝি বলে,
না'টি ভরা কাজফলে, ভোরেভোরে তরী খুলি ,
মাটি হলে জীবনটা , দেখ আছে খালি ঝুলি।


গান গেয়ে জারিসারি নেয়ে সব বেয়ে যায়,
টানটান  চলে যায়, পাল তুলে তারা না'য়,
পায় আমি ধরি যত,
যায় বেয়ে মাঝি তত
চেয়ে দেখি বেলা নত,  গায় নেই জোর মূলে,
নেয়ে তুমি নিয়ে যাও, এক একা আছি কূলে।



বিঃ-দ্রঃ-
উপরের কবিতা উল্টালে অর্থাৎ
কবিতার ডান পার্শের শেষ শব্দ এনে বাম পার্শ থেকে পরপর সাজালে কেমন হয় দেখুন


ভাঙাতরী


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


বেলা আজ যায় যায়, সারা হলো সব কাজ,
খেলা করে মেঘে মেঘে, বেগে বেগে পড়ে বাজ,
বেগেবেগে বাও আসে,
রেগেরগে মেঘ ভাসে,
খাবে জান যম পাশে, লেগে আছে মনে ভয়,
ডুবে যাবে বেলা আজ, ঘরবাড়ি হবে লয়।


ঢেউ খেলে বড় বড়, নদনদী ভরা জলে,
কেউ নেই আর কাছে, গেছে সব ছলেবলে,
ভরাভরা আছে খেয়া,
খরা নেই আছে দেয়া,
ফল শুধু যাবে নেয়া,  ধরা বাটি রবে পড়ে,
বল নেই আজ দেহে, ঘরবাড়ী গেছি গড়ে।


ঘাটে তুমি এসো ফিরে, যাও কেবা বেয়ে তরী,
পাটে গেছে বেলা দেখো, কূলে একা ভয়ে মরি,
চলে তরী জোরোজোরে,
বলে মাঝি শোরে শোরে,
খুলি তরী ভোরেভোরে, কাজফলে ভরা না'টি,
ঝুলি খালি আছে দেখো, জীবনটা হলো মাটি।


যায় বেয়ে সব নেয়ে, জারিসারি গেয়ে গান,
না'য় তারা পাল তুলে চলে যায় টানটান,
যত ধরি আমি পায় ,
তত মাঝি বেয়ে যায় ,
মূলে জোর নেই গায়, নত বেলা দেখি চেয়ে,
কূলে আছি একা একা, যাও নিয়ে তুমি নেয়ে।