তোমার কথা শুনেছি,দেখিনি কোনো দিন,
এই প্রথমবার দেখা দিলে তুমি,রণচণ্ডী রূপে,
নাম বদলে,পরিচয় গোপনে,আম্ফান হয়ে।
তোমার ভালোবাসার মাঝেই,এতোটা রাগ,
বুঝিনি কোনো দিন,তোমার প্রেমের মায়ায়,
এতোটা ঘৃনা,কোথায় রেখেছিলে,এতো দিন?
গুমরে গুমরে কেঁদে,তার এই বহিঃপ্রকাশ,
আমার ভালবাসাকে,মরুভূমিতে,বদলালে,
যে ভালোবাসাতে,প্রাণ প্রস্ফুটিত হয়েছিলো,
নতুন প্রাণের অঙ্কুরোদ্গমে,হাত বাড়িয়েছ,
তবে আজ কেন এতো,অভিমান,রুষ্ট তুমি?
নিজের গোড়া আঙিনা,ভেঙেছ নিজেই।
কাউকে বাকি রাখলে না,পশু,পাখি সবকিছু,
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে,গাছেদের মৃত দেহ,
যেন সন্তান হারা,পরিবার হারা,ধরণীর কোল।
বৃষ্টির ধারা যেন,অশ্রুর ন্যায়,ললাট ভরিয়া দেয়,
তার উচ্ছলিত আবেগ,প্রেমের ধারা আছড়ে পড়ে,
নদীর দুকূলে,ব্যথা লাগে,ধরেছে ফাটল তাতে,
জননী তবুও তাকে,বুকে আগলে রাখতে চায়,
আর ভালোবাসার গর্জন যেন,মৃত্যুযন্ত্রণাময়।
কিছুটা সময় তার পাগলামি,ধংস করেছে সব,
যেন মানবতার সঙ্গে,তার নির্দয়,নিষ্ঠুর ধর্ম যুদ্ধ,
রণক্ষেত্রে পড়ে আছে,মৃত জীব ও জড়ের দেহ।
তারা যেন হাজার চেষ্টা করেও,বাঁচতে পারেনি,
মরেছে বীরের মতো,দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে,
কখনো কখনো এই প্রকৃতি,বুঝিয়ে দিতে চায়,
যে আমরা তার কাছে নগণ্য,খেলার পুতুল মাত্র।
শত চেষ্টা করেও প্রকৃতির কাছে,হার মানতে হবে,
তার বিরুদ্ধে যাওয়া,নিজের মৃত্যকে আহ্বান করা।
তবুও আবার নতুন ভোরে,নতুন সূর্য উদিত হবে,
পৃথিবী আবার,নবরূপে সাজাবে তার কলেবর।