আজ পৃথিবীর বড়ো,কঠিন অসুখ হয়েছে,
যার কোনো চিকিৎসা নাই,সব ব্যর্থতাসাধন,
মানবতার সবকিছু ছাড়িয়ে,সে এখন রাজা।
যাকে পরাস্ত করার জন্যেই,জুটেছে সবাই,
নর হত্যার কারখানা খুলেছে সে,এই ধরাতে,
যে কারখানায় কোনোকিছু,উৎপাদন হয় না,
সুধু লাশের ঢের,যে লাশ কৃয়া করার যোগ্য নয়।
কবরের দুবিঘা জমিন যেন,আর চায়না কবর,
পুড়িয়ে ফেলার মতো,লোকই বা কথায়?
ডোম গুলোকেও গিলে খেয়েছে,সেই কোরনা।
আবার এ কি? গোদের ওপর বিষফোড়া,
কোরনার সাথে,বাংলায় যোগ দিলো,আম্ফান,
ভয়ে মানবজাতি আজ,তৃষ্ণার্ত,ক্ষুধার্ত,অবলা,
জীবনের সব স্বপ্ন গুলো,হঠাৎ হারিয়ে গেছে,
আম্ফানের ভালোবাসাতে,তার কষ্ট বিলাপ করে।
সে আজ খুব রাগান্বিত,সব কিছু ধংস করবে,
কারও ক্ষমা নাই,তার কাছে সবাই অসহায়,
প্রাণী উদ্ভিদ সবাই ভয়ে আড়ষ্ঠ,মৃত্যু সামনে,
যারা বেঁচে যাবে,তারা আবার পৃথিবীর সদস্য।
কোনো উদ্ভিদ প্রতিবন্ধী হয়েই,থাকবে এখানে,
আম্ফানের সুপষ্ট নিদর্শন হয়ে,দগ্ধ শরীরে।
সব কিছু শেষ!থাকার মতো যেটুকু ছিলো!!!!
তাও উড়িয়ে নিয়ে গেলো,যেন পৃথিবী ছাড়িয়ে,
নেশার মতো,লম্বা টানা,জ্বলমান চোখ বিস্ফারিত।
কোন পাপে এই গতি,বলতে পারবে কেউ?
চারিদিকে দেখি,শান্ত,নিঃসঙ্গ,অবলা,ধরণীগর্ভ,
মনে হয় যুদ্ধের কিছু,পরোমুহূর্তের ক্যানভাস।
বেশ ভালো হয়েছে,দূষণ কমেছে,নেই যে ঝগড়া,
নেই কোনো মিটিং মিছিল,রাজনৈতিক চিৎকার,
সবাই যেন ইঁদুরের মতো,গর্তে লুকিয়ে আছে,
আর কত দিন লুকিয়ে থাকবে?বেরুতে হবেই,
পেটের জ্বালা বড়ো জ্বালা,তাই নয় কি?
এক দিন কোটি কোটি টাকা দিয়ে,একমুঠো,
চাল কেনার উপায় থাকবে না,জেনে রেখো।
তখন চাষীসম্প্রদায়ই হবে,পৃথিবীর সম্রাট,
যে বাড়িতে একমুঠো চাল থাকবে,সে হবে ধনী,
আর ঐ কাগজ গুলো,শবেতে আগুন দিতে লাগবে,
পৃথিবী আবার শান্ত হয়ে,যখন নতুন সূর্য উঠবে,
যখন নতুন প্রাণ জন্ম নেবে,তার নতুন চুক্তি হবে,
যে সে পৃথিবীর এই সব নিয়ম,মেনে চলতে বাধ্য,
নিয়ম ভাঙার সাজা,হতে হবে সুধুই মৃত্যুদণ্ড।
তবেই এই পৃথিবীও হয়তো,নতুন করে হাসবে,
এই সংসারে বেঁচে থাকার,অধিকার সবাকার,
আমাদের কোনো অধিকার নেই,তা ভাঙার।
এখানেই ছিলো সর্গ,মায়াবী হরিণ, তপবন,
কিন্তু রাক্ষস-রাক্ষসী,সব ধংস করেছে,নিজ সার্থে,
তাই এই জন্মভুমি আজ,নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন।
এর জন্য শুধু দায়ি আমরা,নিজেরা নিজ সার্থে,
পরের প্রজন্মতো দেখবে,গল্পের শেষ ভাগ,
ছায়াছবির বাকি অংশ,খুব কম সময়ে শেষ হবে।