অনুভব করেছ্ কোনো দিন,মৃত্যুর গন্ধ,
    ভেবেছ্ কি,গন্ধেরও আছে নতুন ছন্দ।
    এই পৃথিবীও নানাধিক,গন্ধের ভান্ডার,
    কখনো কোনো গন্ধ,কাদায় বারে বার।
    কোনো গন্ধে,মনে পড়ে আমাদের পরিচয়,
    কখনো আবেগী মনে,তোমার সুভাষ বয়।
কোনো গন্ধে আছে আবার,মৃত্যুর হাতছানি,
আবার তার সুভাষে,মিলিয়ে গেছে সব গ্লানি।
নব প্রেমের নতুন গন্ধে,অন্ধের গলে যাওয়া,
নতুন গন্ধের আচ্ছাদনে,তোমায় কাছে পাওয়া।
গলে যাওয়া মোমের গন্ধ,তোমার সন্ধ্যাবেলা,
সন্ধ্যা প্রদীপ যখন হাতে,তখন একটু অবহেলা। আনকো রঙের সকালবেলা,গন্ধে ভোরায় মন,
তোমার সুভাষী গন্ধে ভরে,আমার সারা জীবন।
কখনত্ত ঝরে রাগের গন্ধ,গলিত চোখের জল,
তোর ঐ হাসির নতুন গন্ধ,দেখবো কেমনে বল?
পোড়া মাটির গন্ধ সুধায়,আমার ছেলেবেলা,
হারিয়ে গেছে আজএখানে,মাটির পুতুল খেলা।
হারিয়েছি ঝোপ ঝাড় আর,বাবলা গাছের গন্ধ,
উড়তে থাকা জোড়া ঘুড়ির,নতুন তালের ছন্দ।
হাসছে বাতাস,কাঁদছে আকাশ,ভরা দীঘি জল,
শিশিরকণায় শিউলী ঝরে,সদায় গন্ধে টলমল।
মুকুলের গন্ধ,বাঁশের কান্না,তালগাছের ঝগড়া,
ঝাউ এর শোঁ শোঁয়ানি,ফেকা নারকেল ছবড়া,
সবার আছে গন্ধ,অনুভব করে কি শিশু আজ?
তা জানে, পুস্তক,সংগ্রামী,প্রতিযোগিতার কাজ।
শিক্ষার গন্ধ কবেই,উবে গেছে গন্ধকের ন্যায়,
সুদ্ধ গন্ধের খোঁজে,সময় কেউ করে না ব্যয়।
আধুনিকতার ছন্দে,সব কৃত্রিম গন্ধে সুভাষিত,
পুরানো সেই গন্ধ কাঁদে,তাতে সবাই অভিভূত।
কখনত্ত আবার চোখে পড়ে,অহঙ্কারীর গন্ধরস
মঞ্চে সুধায় সাদাবাবু,গরিব লোকের মিথ্যা যশ
মরলে সবার একই গন্ধ,শ্মশান-ঘাট বা কবরে,
গন্ধ চেনার উপায় খোঁজো,আগে মৃত্যুর সমরে।
টাকারও আছে মিষ্টি গন্ধ,সবাই করি হাহাকার,
ভ্রষ্টাচারে ভরছে দেখ,সরকারের ঐ কারাগার।
ভুবনব্যাপী দারিদ্রতায়,পান্ডুলিপির কূগন্ধ,
আজকে সভা,রং মেখেছে,ফুলের তোড়ার সুগন্ধ।
জীবনের আজ গন্ধ নাই,ছুটছে দেখ সভ্যতা,
কালো কাগজে আঁকছি ছবি,ঘুমন্ত সেই মত্ততা।
ছবির গন্ধ ছবির মতো,আঁকতে থাকে দেওয়ালে,
গন্ধের এই আজব খেলা,চলছে বুঝি এই কালে।