আজব পৃথিবীটা,কালো চশমাতে ঢাকা,
ভেতরের চোখ যে কি চায়,কেউ জানে না,
কোনো রঙিন ছবি,বা আতঙ্ককের দৃশ্যপট। 
গুগোলের বাইরে যে,নতুন তথ্য থাকতে পারে
তা সবার দৃষ্টির বাহিরের,মস্তিষ্কের অতীত । 
ভাঙা গোড়ার খেলায়,উন্মত্ত মানব জাতি,
হিংসার রণবাদ্য সুসজ্জিত,বারুদের ন্যায়। 
শুধু অগ্নির অপেক্ষায়,সদ্য চিতায় সুসজ্জিত,
কফি,সিগারেট যে,মৃত্যুর হাতছানি,
তা আমরা চোখ থাকতেও দেখি না,        কান্নাশোনার জন্য,মোদের কর্ণপটহ নাই। 
সার্থপর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠজীব,আজ অন্ধ,
চোখ থাকতেও,না দেখার ভান করে
ভালোমন্দের পার্থক্য,বোঝার মতো ক্ষমতা নাই
কটু হাস্যে,হলুদ হিংস্র দাঁত গলি,বিষে ভরা,
পাগলা কুকুরের মতো,অভুক্ত ফুটো পাকস্থলী।                                            এরা বেঁচে থাকার জন্যে,খায় না,
খাওয়ার জন্যে বাঁচে হয়তো,কে জানে!
সূয্র্যদেব ও এখোন,প্রভাতে উঠতে ভয় পায়,
প্রভাতে সে আবার পৃথিবীর নাড়ি পাবে তো?
পতি পদে,পদে,ভয়ের আদুরে হাতছানি,  
ব্যস্ততার জীবনকাল, মৃত্যুর গন্ধে রুপান্তর।
সে হাসলেও মনে হয় না,সে হাসছে কিনা,
কাঁদলেও চখের জল,অপাঙ্গে শুকিয়ে যায়।
ভস্মীভূত ছাই কটু দৃশ্যে হাসে,হায়রে নরাধম,
কিসের এতো তাড়া,সবাই একদা যাবে মারা।
কলসি খালি হোক,দেখাতে হবে সে পরিপূর্ণ,
ভেতরের হাঁড়ির খবর যেন,চাপা থাকে সদাই।
জলের প্রয়োজনে তাতে,তৃষ্ণা মেটানো যায় না,
কিন্তু আকণ্ঠ তৃষ্ণার্ত পথিক,আশা করতে পারে
এখোন শুধু দেখানোর প্রতিযোগিতার,সমাপন।                                                এই বিশ্বজগতের,সোনালি রৌদ্রস্পর্শও,বিষময়,
বাতাসে প্রাণঘাতী জীবাণুর, কুকর্মের কর্মস্থল,
বুকভরে বাতাসের ভালবাসা পাওয়া,অসম্ভব ।
এখোন সবুজ পৃথিবীটা,ধূসর ঘুরন্ত গ্রহ মাত্র,
সত্যিকারের প্রাণ প্রসবের,অতৃপ্ত মৃত আত্মা ।