যখন তোমার,ভাঙল্ ঘুমের মেলা
দেখতে,দেখতে,কেটে গেছে সারা বেলা।
ভাঙা মেলায়,পেলে কি আর কিছু
তোমার জন্য,সকলের মাথা নিচু।
এই তো আছি বেশ,একা একা
তবে আবার কেন,নতুন করে পথ চলতে শেখা।
ভাঙা মনের মেলায়,পড়ে আছে অনেক আশা
কুড়িয়ে দেখ তুমি,খুঁজে দেখ তুমি পাবে ভরসা।
পড়ে থাকা মাটির পুতুল গুলো.... আমাদের মতো
তারাও যেন সবার কাছে,নিষ্ঠুর সৃতিগত।
তুমি ভেবেছিলে,দুঃখ শুধু তোমার নিজর,তা নয়
আমিও একই সুখে সুখী,শরীরে উজান বয়।
মেলার শেষে সবাই,চলে গিয়েছে ঘর,কেহ নাহি পর
মন্দিরের উচিয়ে থাকা পতাকা,আজও কাঁপছে থরথর।
দেখতে,দেখতে,কেটে গেছে সারা বেলা
যখন তোমার,ভাঙলো ঘুমের মেলা।
আজও এ মন চায়,মাটির পুতুল খেলার মতো,সংসারে নামতে
কিন্তু কেন....? সে কথা কি কোনো দিন জানতে।
তবে আর দীর্ঘ এতো বছর পরে,কেন দাও ব্যথা
ব্যথা রাখিবার স্থান নাই,কেন মন দাও,যেথা সেথা।
হয়তো,আজও এই শরীরের অঙ্গ গুলি,চেনে তোমায়,বোঝে তোমায়
কিন্তু আমি জানিনা....ভুলে গেছি তোমায় আমি,কিছু ফিরে চায়।
মাটির পাত্র ভেঙে গেলে,হয়তো জোড়া সম্ভব,কিন্তু মন না......            
মনের বাসা ভেঙে যায়,মন না পেয়ে হায়
বুকে জমা ব্যথা গুলো,কেবলই কাঁদায়।
ভাঙা হৃদয় বারেবারে,পুড়ে পুড়ে কেঁদে মরে
বেঁধেছে পরাজয় আজ,শুধু দুঃখের প্রাচীর গড়ে।
তোমায় ভুলতে চেয়েছি বারবার,ভুলতে পারিনি আজও
আজও অপেক্ষায় দিন গুনি,গুনি মাস ,গুনি বছর
এই যৌবনেও বসন্ত এসেছিল,কিন্তু দেখা নেই তোর।
লতা পাতায় বৃষ্ঠ আমি,পারিনা কিছুই করতে
মন চাইলেও,পারিনা আমি,তোমার জন্য মরতে।
সমুদ্রের ঢেউ এর মতো আসো,আবার চলে যাও
পারিনা তোমায় মুছতে        
বুদবুদ হয়ে,হারিয়ে যাও,পারিনা তোমায় ধরতে।
তবুও বলি,ভাঙা মেলায়,ভাঙা বেলায়,পেয়েছ যা বেশ
তাকেই নিয়ে সুখে থেকো,জীবনের শেষমেষ।
এই তো আমি আছি,বেশ একা একা
হয়তো......কারও অপেক্ষায় বসে থাকা।