রাতের শহরের বার থেকে,বেরাল এক নারী
মনে হয় সে খুব কান্ত,হয়তো এখন যাবে বাড়ি।
জানি না সে কে,কথাকার,অবহেলিত চোখ তার
আমি দেখেছি তাকে,যানিনা,বুঝিনা,প্রমীকা কার।
মিষ্টি লাজুক হাসি তার,দেখলে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যায়
রাতের রঙিন আলো দিয়ে সে নিজেকে ভরিয়ে তুলতে চায়।
সে পারে না সত্যিটা সবাইকে জানাতে,মনে মনে কাঁদে
আমি জানি,সেও মনে মনে ভালবাসার ঘরে,মিথ্যা বাঁসা বাঁধে।
কাকে ভালবাসে জানিনা,টাকাকে,না তার কর্মজীবনকে
কে জানে!অন্তর কোঠরে গিয়ে সন্ধান করা অসম্ভব,মনকে।
হয়তো আমিই পাগল,তা আমি জানি না,মিছক চিন্তাশীল
হয়তো ভাঙা কাঁচের পাত্রে তাকে দেখেছি,মন হয়েছে শিথিল। বিষাক্ত জীবন আমার,সর্পের বিষ এর ন্যায়
নিজে থেকে অন্তআত্মাকে বহিষ্কার করার উপায় নাই।
অমাবস্যা রাতের পথিক আমি,হাতড়ে চলি আলো
পড়ে থাকা নুড়ির মতো,পড়ে আছি বেশ ভালো।
জলের স্রোতে,ধরার বুকে,বন্ধুত্ব কাদা বালির সঙ্গে
ঝরে যাওয়া লুটিত ফুল,পায়না ঠাঁই‘নিষ্ঠুর নীরব দেবাঙ্গে।
পুজারীর ঘন্টা কানে এলে,মনে হয় বীভৎস ধর্মের কোলাহল
পরিপাটী সাজানো বাগানও বলে,নিষ্ঠুর এই দুনিয়া ছেড়ে চল।
পরিবেশের দূষণও খুঁজে মরে,শশান ঘাটের জ্বলন্ত শান্তি
প্রান জন্মের আগে থেকেই,ভবিষ্যৎ করছে সদাই অশান্তি ।
শীতের দুঃখে ঝরে যাওয়া বৃক্ষের পাতা গুলি,করছে আত্মনাদ
সমাজ গড়ার কারিগররা নিদ্রা রত,কে মেটাবে তাদের সাধ।
ঝরে যাওয়া বাকলের মাঝে,জমে থাকা জল,মরন পথে পতিত
খাদ্য চক্রের লুকন্ত জীবন গুলি ভাবে,দুষ্টুমিভরা কান্ত অবহেলিত ।
হয়ত কিছু ঢেউ চোখে দেখা যায় না,                                                           কিছু রাতও জ্যোৎস্নার আলো পায়না,
কিছু কিছু মনও কাঁদে প্রতিক্ষন,কষ্ঠের মায়াজালও বোঝা যায়না।
নতুন করে আমিও আর সুখ চাইনা।