ভালোবাসার বুক চিরে,রক্তের কারাবাসে খুঁজেছি তোমায়
আমি যে অভিসম্পাত রক্ষী,ছেড়ে দেবার উপায় নেই আমার।
পৃথিবীতে অনেকেই কাঁদে,কারও কান্না শোনা যায় বা যায় না
কোন শব্দ ধারক যন্ত্র দিয়ে শুনলে,দুনিয়ার করুন আর্তনাদ শতফূর্ত,
অনুভব করি সেই শব্দ,ছবির মতো হাত ছানি দিয়ে ডাকে আমায়।
আকাশে অনেক নক্ষত্র  মিট মিট করে,কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকই মৃত
সেটা আমরা জানি না, যেন মৃত্যুর পরেও আকাশ তাদের মুক্তি দেয়নি।
দিনের আলোতে  তারা দেখা যায় না,কিন্তু তা বলে তারা কি নেই?
আছে,আছে,মনের চোখ দিয়ে অনুভব করলেই তারা দৃষ্টিগোচর ।
জোঁকের কান্না তুমি শুনেছ,শোন নি তো? তারাও তো জীবের পর্যায়
কতো কান্না ধরে রাখে,এই পৃথিবীর মস্তিষ্ক ,যার কোন ক্ষয় নাই।
আর দীর্ঘ বছরের আমার চোখের জল,বন্যায় রুপান্তর তোমার জন্য,          
তা তুমি অনুভব করনি,এখোন মুক্তির অভিলাষে বন্ধত্বের কারাগারে।
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো,ভালোবাসার  আত্মনিপীড়ন যন্ত্রণা
ঘা সারার মুখে,তাতে চিল শকুনের ঠকরানী,আরও বিষময় অস্থিরতা ।
ঘষা কাঁচের মতো দৃষ্টি আমার,স্পষ্ট দেখতে চায়লেও দেখতে পাই না
দেখি শুধু মনের ক্যান্সার গ্রস্থস্বত্বাপহরণ,দুটি ভালবাসার  চোখ দিয়ে।
নগ্ন প্রাণহীন দেহ নিঃসঙ্গ,নিঃশর্ত,নিঃশব্দ,বিচ্ছিন্ন রক্তহীন বাহু মোর
ইচ্ছা থাকলেও ধরার উপায় নাই,নাই কোন সম্বল, হয়েছ রক্তদূষণ ।
কপালে তোমার সিঁদুর ,যেন আমার সূর্যাবতী, আস্তাগত নিম্নগামী
সুখে-দুঃখে থাক সাথে,দিওনা যেন যন্ত্রণা,দিওনা আমায় মন্ত্রণা ।
ভালোবাসার গোলাপটাও,বইএর পাতায়,শুখনো হয়েছে আজ
নেই তার গন্ধ,নেই তার আবেগ,আবেগহীন মৃতপ্রায় যেন কন্ঠমণি ।
কন্ঠধ্বনি-সহযোগে শুনতে পাই,তোমার সেই কালোচিত বিদায় রজনী
আজ মৃতু্যদণ্ডযোগ্য আমি,হয়তো আসছে কাল পুষ্পিত বিদায় তরণী ।