আমার সেই হারানো বিকেল,তোমারই সাধনে
কখন বেঁধেছ বাসা,জানি না সে কোন বাঁধনে।
সুরের বাঁধনে বেঁধে ছিলে,তোমার সেই এলো চুল
অনেক খুজেছি তোমায়,করেছি অনেক ভ্রান্তি ভুল।
প্রেম বলে যে কাঁদিস নারে,নিভানো জীবন বাতি
প্রদীপ রূপে দেখিস তারে,সেটাই মনের সাথী ।
ভ্রমর কালো চোখের ছোটা,চোখে কেন জলের ফোঁটা
কি করনে কাঁদালে তুমি?কিসের আশায় এমন ঘোটা।
সেই তোমাকে চিনি,তমনি আছো আমার মনে
পরান পাখির কান্নাকাটি ,সকল কান্না হলো মাটি।
মৃদু বাতাস বলে যায়,তোমার সুখের করুণ গীত
পাহাড়চূড়া ভেঙে ,কাঁপিয়ে তোলে আমায় শীত।
গোপনে দেখছি তোমার খেলা,মন মাঝারে শুধুই বেলা
একলা পথে হেঁটেছি আমি,সুখের ঘরে দুঃখের মেলা।
ভাঙা তরী ধরে সেই চিঠি লেখা,সেই প্রথম দেখা
চলতে চলতে সেই প্রেম,ভালোবাসার  কথা শেখা।
হাতে হাত রেখে সেই পরিচয়,বুকে সেই লাগে ভয়
মুক্তির বাতাস নয়,উদার প্রমের পথের পথিক কয়।
প্রেম প্রিয়াসী দুটি নয়ন,এখন কেন অন্ধ
সুখের সানাই বাজিয়ে এখন,শেষ হয়েছে দন্দ।
বাসর রাতে মনের সাথে,শুধুই রঙের খেলা
লাল, শুভ্র বিছানাতে,গোলাপেরই মেলা।  
রজনীগন্ধার মালা পরে,বসে ছিলে দুজনে
সকল বিহঙ্গ ডেকে ছিল,কুহু-কুহু কূজনে।
তখন আমি মনের দেশে,স্মৃতি গুলি আবার হেসে
মেটায় মনের জ্বালা,সেই পড়তি বিকেল বেলা।