আনন্দের প্রেক্ষাপটে,সে আজ উলঙ্গ রাণী,
হাজার লোকের ভীড়ে,যেন অদৃশ্য এক মূর্তি,
ভদ্র সমাজে,এক খন্ড কাপড় গায়ে দিতে মানা,
সবার হাসির মাঝে,তার কি হাসার অধিকার নাই?
ঘুরছে নাগোরদোলা,বদলে গেছে রাতের শহর,
হাজার লোকের মাঝে,সে যেন মেঘে ঢাকা তারা,
কখনো কি ঘুচবেনা তার,স্নিগ্ধ অন্তরের গ্লানি?
আনন্দের প্রেক্ষাপটে, সে আজ উলঙ্গ রাণী ।
হয়ত সে পাগলী বটে,বোঝেনা কিছুই ভালো,
সবাই চেয়ে দেখে,কিন্তু কেউ ঢাকেনা কালো।
সবাই ভাবে কাদের পাগলী,আমার তাতে কি,
পাগলী গুলো উলঙ্গ হয়,মন খারাপ করার কি।
সভ্য সমাজ তোরে জানাই,একটু দেখে চল,
আপন পর ভুলে গিয়ে,সহানুভূতির কথা বল।
আজ বীহনে ভুলেছি মোরা,প্রেমের অমর বাণী,
আনন্দের প্রেক্ষাপটে,সে আজ উলঙ্গ রাণী।
হাজার হাজার টাকার খেলা, এই শারদীয়ায়,
ডাকের সাজে,সোনার সাজে,বন্দনা আজ গায়।
হীরের মুকুট,আলোর সাজে,চোখ জড়ানো রং,
তবু নাঙ্গা ঘোরে পাগলী বুড়ি,দেখি কতো ঢং।
যে দেশকে পূজন করি,ভারত মাতা রূপে,
ভেবে দেখেছি কি,সে কি আদেও আছে সুখে।  
চোখ থাকতে অন্ধ সবাই,মনসা চ্যং বুড়ি কানি,
আনন্দের প্রেক্ষাপটে,সে আজ উলঙ্গ রাণী ।