পাপের রনডন্ডার বেজে উঠেছে,প্রস্তুত সবাই,
সঙ্খ নাদের আহ্বানে,রন সঙ্ঘাত সুনিশ্চিত।
সম্পন্ন পূজার আহুতি,তিনি যে নর বলি চান,
রক্তের লাল রঙে স্নান করে,তবেই তিনি তুষ্ট।
লাল লকলকে জিহবা,যেন আগ্নেয় অগ্নিগর্ভ,
সবাই পুড়ে ভস্মীভূত,পড়ে রবে কালো ছাই।
ভালবাসা ভালো লাগা,সব তারই পরিকল্পনা,
মায়ার বাঁধনে বেঁধে ছিলো,বলির বখরার জন্য।
বলির সময় আগত,এক ঘরে বন্দী পাঁঠার মত্,
আজ চকচকে ধারালো,খড়গোটা হাসছে।
তাঁর অট্টহাসিতে বোঝা যায়,কতো ক্ষুধার্ত সে,
তাঁর জিহবা বহুকাল,রক্তের স্বাদ গ্রহণ করেনি।
যুগ যুগ ধরে ঘুমিয়ে ছিলো সে,ঘুম ভেঙেছে!!
কারও নিস্তার নাই,সকল ঝর্ণার জল দিয়েও!
তার মাথা ঠান্ডা করার,উপায় নাই সুনিশ্চিত,
জীবনের কারাগারে যেন,লক্ষণ গোন্ডি দিয়েছে,
গোন্ডি পেরালেই মৃত্যু,মৃত্যু যে অবলুপ্তহীন।
মানুষের দুঃখের কারন,খুজেছ্ কোনো দিন?
মনে হয় না!না পাওয়ার যন্ত্রণাই,দুঃখে রুপান্তর, নিজের সার্থে অন্যকে দুঃখি করা,আমবাত।
সব কালচক্রে নিয়ম অনুসারে,চলছে আজও,
কিছুই ভুল নয়,সব সত্যি,এটাই ন্যায় বিচার।
আপনি বিচারক হতে পারেন না,কেউ মুক্ত নয়,
এক পাপ মুক্তআত্মাই,বিচারকের যোগ্যধারি।
বিচারে একটাই সাজা,সেটা অনন্ত মৃত্যুদণ্ড,
তাকে তুমি পছন্দ,করো বা না করো,এটাই সত্য।
শান্তির সেই শ্মশানে,আজ আর শান্তি নাহিরে,
চিতাগ্নি দেওয়ার মতো জায়গা কোথায়?
মৃত্যুর যাত্রা বিশালাকার,অজগর সাপের মতো।
নাগের দল পৃথিবীর বাতাসে,বিষ মিশিয়েছে,
দংশনের দরকার নাই,মৃত্যু অবধারিত সঙ্গী ।
শ্মশান বা কবর ডাকছে,তার চোখের আলোতে,
আয় আয় মৃত্যুর স্বাদ,গ্রহন করে যা একবার।
এই অমৃতময় আনন্দ,বিশ্বজুড়ে বিরাজমান,
কিন্তু মানুষ চায় না,অমৃতের ভার বহন করতে।
তবে নিজ চিতা সে,জন্মের আগেই বানিয়েছে,
সে জানে না এই চিতা কার!কর্ম করেছে মাত্র।
সেটা ভালো বা খারাপ,চোখের আড়ালে লিখিত,
আমি বিশ্বাস করি না কিছুই,সবই কল্পনা মাএ,
আমি এই নতুন পৃথিবীর,আবার নতুন ছাত্র।
ক্ষমা করো প্রভু,নিছক হানি করেছি সম্মান,
তা আর হল না, সাবধান,ঈশ্বর বলি চান।