সে হাসতে চায় না,তবুও তাকে হাসতে হয়,
সে কাঁদতে চায় না,তবুও তাকে কাঁদতে হয়।
এই বিশ্ব সংসারে সবাই যেন,রোবটের মতো,
নিদিষ্ট সীমারেখায় সীমাবদ্ধ,কম-বেশী নয়।
সত্যি কারের পাগলও এখন,দেখা যায় না,
পাগল যেন পাগল নয়,অভিনয় করছে মাত্র।
দেখতে পাগল,তারও খেপামি সীমাবদ্ধ আজ,
মানুষ যেন কোন স্যাটেলাইটের, ইশারাদ্বারা,  
ঘুরছে সুখের সন্ধানে,রিমোট অন্যের হাতে।
তাকে চালাচ্ছে কোন,মানবীকতার শক্তি নয়,
কোন নির্ধারিত,যান্ত্রিক শক্তির প্রবাহতড়িত।
নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে,তার কিছু করার নেই,
সব কিছু স্পষ্ট ভাষায় নামাঙ্কিত,আদেশপত্রে।
মানব জাতি যেন,বোবা কালা নেশায় মগ্নচর,
সব জেনেও না জানার বা বোঝার ভান করে।
সবাই শুধুমাত্র নিয়মকে,অনুসরণ করছে মাত্র,
গল্পের গরু গাছে উঠুক বা না উঠুক তাতে কি!
সব গল্পতো?গল্পের কোনো বাস্তব রূপ হয় না।
যারা গল্প নিয়ে মাথা ঘামায়,তারাই তো পাগল,
কিন্তু সবার মনের মধ্যে,গল্পের পাহাড় জমানো।
গল্প শোনার মতো,এখন কোনো,শ্রোতাবৃন্দ নাই,
কার গল্প কে শোনে!সবাইতো অন্ধকূপের যাত্রী,
শুধু গহিন অপেক্ষায়,সুখের পাখি ধরার ত্বরে।
সুখের সোনার পাখি,সে যে ধরা দেয় না সহজে,
পৃথিবীর প্রানী জয় করেছে সব,দুঃখকে নহে,
সে দুঃখকে চায় না,তবু দুঃখ তার পাশে দাড়ায়।
কেউ এটা বোঝে না,সুখ দু:খ একই সুরে বাঁধা,
দুঃখের অপর প্রান্ত সুখের রুপোলী অলঙ্কার।
সে নাচতে জানে না,তবুও মঞ্চে নাচতে হবেই,
এই ধরার রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী,হতে চায় এরা।
আর কতই রঙ্গ করবে এখানে,তাকে খুঁজতে,
খুঁজতে খুঁজতে বেলা গড়িয়ে,কখন সন্ধা হবে,
কেউ জানে না,তখন ফিরে যাওয়ার পথ রুদ্ধ।
লাল সূর্য তখন পশ্চিম প্রান্তে,বিদায় জানাচ্ছে,
কখন বেলা পড়েছে,কখোন চুল সাদা হয়েছে,
কে জানে!শরীরের চামড়াতেও বদল এসেছে।
কতোবার পৃথিবীতে বসন্তেরদূত গান গেয়েছে,
রেখেছ্ তার খোঁজ?মনে হয় না,তাই নয় কি?
কতো বর্ষাবধূ দলে দলে,কলস্রোতা রূপবতীর,
ঠান্ডা আঁচলে,ঢেকেছে তার গরম বালুকা মুখ।
কতো তারার সমাধি হয়েছে,ঐ নীলা আকাশে,
কতো কোটি শুখনো পাতা,বলিদান দিয়েছে,
এই ধরণীগর্ভে,তার কেউই খোঁজ রাখে না।
কেনো রাখবে,সময় কোথায়?বেলা বয়ে যায়,
তবুও কতো কি করার আছে বাকি,বাকিটুকু
গল্পেরই পাতাতে ধূলো,জমতে থাকুক না আজ,
ধূলি ঝাড়ার সময় নাই,মানুষের অনেক কাজ।