আজকে সমুদ্রের যেন প্রাণ নেই,সমুদ্রটা চুপ
যেন তার ভালোবাসার হাওয়া,চলে গেছে।
জলে ভেসে-চলা শৈবাল যেন,প্রেমের গহনা,
মাঝে,মাঝে,শুশুক গুলি খেলেবেড়ায় কোলে,
তারা যেন জননী হীন,সদ্যোজাত শিশু ন্যায় ।
জলের ওপর উড়ছে কিছু,নাম না জানা পাখি
মাংসাশী পাখি গুলিও ক্ষুধার্থ,ক্লান্তও বটে।
ক্ষুধার জ্বালায় হয়তো,চক্ষু রক্তবর্ণ রক্তহীন ,
ছোঁ মেরে তুলে নেবে হয়তো,কোন মৎসকন্যা।
কারন সমুদ্র আজ ক্লান্ত,স্থিরময়,প্রেমিকা হীন,
যদি আজ থাকতো তার পাশে,প্রেমি হাওয়া
তবে হয়তো থাকতো তার যৌবনোচ্ছল ঢেউ,
গর্বে গর্জন করতো সে,বাঁচতো অনেক প্রান।
কিন্তু,সে এখন বদ্ধ লবনাক্ত জলাশয় মাত্র,
সূর্যের রক্তিম আলোতে,আর কথা বলে না সে
সূরের ঝঙ্কারে, তালে তালে নেচে ওঠে না,
চাঁদের আলো তার বুকে,আর খেলা করে না
রূপলী আলো যেন বিক্ষীত্য হয়ে চলে গেছে।
আকাশ যখন ঢাকে মেঘে,কালো ছায়া পড়ে,
যেন বিশাল গহ্বরে,হারিয়ে ফেলেছে নিজেকে।
মনে হয় চারিদিকে, ভয়ংকর বিষাদের ছায়া,
চারপাশের, ধূসর  দ্বীপপুঁঞ্জ গুলোও মৃতপ্রায় ।
সেখানেও কোন কিছুর, নিষ্ঠুর অভাব মনে হয়,
চলে যাওয়া প্রেমি কি আর,আসবে না ফিরে?
রঙিন স্বপ্ন গুলো যেন,হঠাৎ বিলীন হয়ে গেছে!
এখন শুধু পড়ে আছে,স্বপ্নের সাদা হাড় গুলো।
হাড় গুলোর আর্ত্মনাদ,শুনতে খুবই শ্রুতিকটু,
তবুও সে মানিয়ে নিয়েছে সব,এখন অপেক্ষা।
প্রেমিকা হাওয়ার গানে গানে,ঝরতো ফুলবতী,
রাঙিয়ে,ভরিয়ে দিতো তার বক্ষঃ ললার্টবন্ধনী।
সুগন্ধে ভরে থাকতো,এই মৃতপ্রায় বিশ্ব চরাচর,
কিন্তু না!তা আর আশা নাই,সবই নিজের ভুল।
তবুও মাঝে মাঝে মনে হয়,সে আসবে ফিরে
আবার পাখিরা গান গেয়ে,ঘর বাঁধবতে নৃত্যে।
আবার সূর্যকিরণ মিষ্টি ছোঁয়াতে ভরাবে প্রাণ,
ফুটবে নাম না জানা,রঙিন অবলা ঘাস ফুল।
চরে কাঁকড়ার মিছিল,মাছের নৈশঅভিযান
সমুদ্রের সংসার,ভরে যাবে আবার নিত্য নিয়মে
      আবার সে হয়তো,ফিরে পাবে প্রাণ,
            গায়বে জীবনের জয়গান।