অনেক দিন হলো, আমি স্বপ্ন দেখি না।
দিন আসে, দিন যায়। রাত নামে পুরানো এ শহরে
জানলার ওপারের রাস্তাটার ভিড়- বাড়ে, কমে।
শহুরে ব্যস্ততাতে হারিয়ে যায় কতজন
আমি হিসেব রাখিনা তাদের, শুধু-
অবাক হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখি এসব।
শূন্যতার মানে খুজতে খুজতে ক্লান্ত আমি।
শেষ বিকেলের আলোটুকু নিভে গেলেই-
আঁধারে ডুবে যায় আমার ঘর।


অনেক দিন হলো, আমি আলো জ্বালি না।
আঁধারে চোখ মুখ ডুবিয়ে বসে থাকতে-
অসম্ভব ভালো লাগে আজকাল।
ভালো লাগে আঁধার; আলোর চেয়ে।
আঁধারে থাকতে থাকতে সয়ে গেছে চোখ
এক চিলতে আলো দেখলেও চমকে উঠি এখন।
অন্ধকারে হাতড়ে খুজি পুরানো কিছু স্মৃতি
কিছু ভালো খারাপের গল্প, কিছু মাঝ রাতের কাব্য
খুজে ফিরি কিছু ফেলে আসা জ্যোৎস্না।


অনেক দিন হলো, আমি জ্যোৎস্না দেখি না।
বন্ধ জানলার ফাক গলে প্রবেশ করে না স্বর্গীয় আলো
স্পর্শ করে না আমাকে, করে না মাতাল।
জানলার ওপারে এসে দাড়ায় কিছুক্ষণ,
কিন্তু ডাকে না আমায়, দাড়িয়ে থাকে চুপচাপ
তারপর, ফিরে যায় একটু পরেই।
ঝিমধরা আধারি চিলেকোঠায় এক ধূলো জমা ডায়েরী-
পড়ে থাকে চুপচাপ; অন্যান্য আসবাবের মত।
কোন নতুন কবিতা আর ঠায় পায় না তাতে।


অনেক দিন হলো, আমি কবিতা লিখি না।
ছন্দের দুষ্টুমি আর খেলা করে না মস্তিষ্কের নিউরনে,
দু একটা শব্দ, কিংবা কয়েকটা বাক্য-
এইতো। এটুকুই। শেষ হয়না আর।
পড়ে থাকে অসমাপ্ত লেখা, কোন মলিন ডায়েরীর পাতায়,
পড়ে থাকে একাকী। ধূলো জমে তার উপরে।
কিছু বিষাদ কিংবা কিছু সুখ-
পাখি হয়ে উড়ে যায়, হারিয়ে যায় শেষমেশ
কোথায়? কে জানে!


-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ইং