সিলিংয়ের ফ্যানটা ঘুরে চলেছে নিরন্তর
তবুও ভ্যাপসা গরমটা কাটে না যেন,
দেয়ালের বুড়ো ঘড়িটাও টিক টিক করে চলছে
ছুটছে সময়, বাড়ছে বয়স
ক্রমে বুড়িয়ে যাচ্ছি আমি।


ইট কাট পাথরের চার দেয়ালের মাঝে,
রাত হয়, ভোর হয়
দিন যায়, মাস যায়
ধীরে ধীরে জীবন থেকে
হারিয়ে যায় অনেক গুলো বছরও।


জানলার ওপারের আকাশটা
তবু থেকে যায় অচেনাই,
তাই রাতের আকাশের চাঁদের দিকে
তাকানোর দুঃসাহস হয়ে ওঠে না আর।
বন্দি জীবনের দীর্ঘশ্বাস-
দরজার কপাট অবধি পৌছেই পড়ে মুখথুবড়ে,
দরজার ওপারে পা রাখাও তাই হয়না কোন দিনই।
চারদেয়ালের মাঝের পৃথিবীটার একছত্র অধিপত্যে
ক্রমেই নীচু হয়ে যায় মাথা।
একসময় ধীরে ধীরে যখন দৃষ্টি ঝাপসা হয় আসে
তখন হয়ত আকাশের দিকে-
চোখ পড়ে কোন এক দিন,
আর তখনি চমকে বলে উঠি, একি!
আর ঠিক তারপরই ফিরে তাকাই নিজের দিকে,
হ্যা, আমিই তো সেই।
যান্ত্রিকতার বিশশত বিশ নম্বর বন্দি।


-৩০/০৩/১৪
রাজশাহী