কত বরষা বরবাদ করেছি মেঘের ঘনতা মেপে মেপে,
ভেজা পল্লবপুঞ্জ এড়িয়ে গেছে আমার আলখাল্লা প্রতিবারই!
বরষায় উদাস হয়েছি প্রগলভতায়,
চেয়েছি বৃষ্টিপ্রেমীদের হতাশ করে থেমে যাক এই ঝরনা!
একদিন সকালে হাত বাড়িয়েও ফিরিয়ে নিয়েছি,
বৃষ্টিজল ছুঁয়ে দেখারতো কিছু নেই, সামান্য তরল মাত্র!
বরষার রাগিণীকে মনে করেছি
দূষিত শব্দচয়ন অবাঞ্ছিত কোন উপন্যাসের!
যেন কোন অপ্রিয়ভাষিণী আমার কবিতা আবৃতি করে যাচ্ছে অর্গলহীন!
আবারও বরষার আগমনে সূর্যদেবের মন্দিরে করেছি পদব্রজ!
বরষা আমায় করুণ করেছে, নষ্ট করেছে আমার ষড়ঋতুর বৈচিত্র!
একদিন সকালে হাত বাড়িয়ে দিলাম, চোখ খুলে তাকালাম!
বারান্দার ধারে যৌবতী কদম ফুলের নুয়ে পড়া ডাল বরাবর,
আমি সে এক বিস্ময় দেখলাম!
দেখলাম লাজবন্তী কদমের বৃষ্টি ধোয়া রেশমি বদন!
দেখলাম ঝরে পড়া জলের বিচ্ছেদকাতর আকুতি, আহা কি করুন!
অনেক বরষা দেখেছি, অনেক কদম ঝরেছে নয়নতলে!
তবু সেখানেই যেন নিথর আমি, বরষার প্রেমে পড়েছিলাম!
একদিন সকালে বৃষ্টিভেজা কদম ছোঁয়া হল,
একদিন হাত বাড়িয়ে ভালোবাসা হল অপ্রিয়ভাষিণীকে,
কত বরষা বরবাদ করে কদম ছোয়া বৃষ্টিজলে একদিন হল আমার বরষাবরণ!