একটা বিচিত্র ভালোবাসায় ডুবে থাকি
আধোমুখ; ঠিক ঐ নাকের ডগা পর্যন্ত,
হাত ডুবে থাকে, তার রেখা ডুবে থাকে,
পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসায় ধুয়ে দিলেও
যা একচুলও বিচ্যুত হবার নয়, কখনও!
পায়ের গতিপথ স্থির হয়ে যায় পুরোটাই
জলের পাঁচিল ভেদ করে শুধু চলা যায়,
দৌড়ে ছোঁয়া যায় না কল্পনার বেণুবাঁশ!
নাক ডুবে থাকে বলে নিঃশ্বাস থেমে যায়,
জলের মধ্যে অজস্র বুজকুড়ি অক্সিজেনও
প্রশ্বাসের স্বাভাবিকতা ফেরাতে পারে না!
সেই জলের পাঁচিল ভেঙ্গে আমার উচ্চারণ
কথা কিংবা চিৎকার হয়ে রণিত হয় না!
বেচারা কান দুটো ঠিক এই আমার মতই
অর্ধেক ডুবে থাকে, বিমিশ্র চেতনার দ্বন্দ্বে।
ভেসে থাকে দু-চোখ আর ক্লান্ত মগজ শুধু!
হে ভালোবাসা,
হে বিচিত্র ভালোবাসা,
আমার সমস্ত কলেবর তোমায় সঁপেছি
আমার পাঁজর; ভেতরের অখণ্ড হৃদয়
সঁপেছি নিঃশ্বাসের অধিকার; সবটুকুই
তবু কেন চাইছো মগজ, মানসের স্বত্ব
কেন চাইছো চোখদুটো, দৃষ্টির অমরত্ব!