কাছের গাছ গুলো মাথা নোয়ালে
দূরের গাছের ছবি ভেসে ওঠে
ঘরের প্রাচীরগুলো একে একে
সরে গেলে পাশের বাড়ির উঠোন জেগে ওঠে


প্রাচীর সরুক না সরুক
উঠোন তো আজও আছে
সেই বাড়ির উঠোনে নিত্যদিনের
কাজের ফাঁকে আজ কেউ চেয়ে থাকে


একটা বাড়ি আর একটা বাড়ির পানে
একঘর প্রাণী অন্য একঘর প্রানীর টানে
প্রান তো প্রানকেই চায়
নিষ্প্রাণ চাই নিস্তব্ধতাকে


চারিপাশের সমস্যাগুলো আজ পাহাড়
পাহাড়ের স্তুপে আরও পাহাড়ের ভীড়ে
হারিয়ে যাওয়া দূরত্বে কোন হাতছানি ডাকে
ঈশারায়-মিলনের ইঙ্গিতে।


কাছের গাছগুলো আজ বড় হতে হতে
দূরের গাছের ছ্বায়া ঢাকে আচম্বিতে
তখনই গায়ে লাগে তাপ-ভীষণ নিঃসঙ্গতার
আজও দূরের গাছেদের ডগা আধো অন্ধকার।


এক প্রতিবেশী আজও অন্যের গন্ধ পায়
একের ছ্বায়াতে অন্যের রঙচটা কাপড় শোকায়
তবু মাঝে মাঝে যখন – গন্ধে ভীন্‌দেশী
তখন ছ্বায়া মাড়ায় না –সীমাহীন প্রতিবেশী।