। আলো।


তারিখগুলো সবার জানা, উৎসবেরা যার ঠিকানা
পুজোর মতন,
সাদা কালো ছবির কাচে, সময় স্নেহে আগলে আছে
অরূপরতন।
সেসব ছবির ঝাড়বে ধুলো,ঝুলবে মালা অনেকগুলো
ওই দুটো দিন ,
উঠবে শ্লোগান অমর রহে,  ওঁদেরই তো রক্ত-দহে
দেশটা স্বাধীন।
অঞ্জলি দেয় যেমন করে, তেমনি সবাই সমস্বরে,
‘জনগণ’,
আদ্যোপান্ত মুখস্থতে , শুনবো নেতার মুখস্রোতে
তাঁর ভাষণও।
কর্মকর্তা বিলোন হেসে ,প্রসাদ যেমন পুজোর শেষে  
নোনতা মিঠে
এই সময়ে প্রশ্ন বারণ ,ম্যাপের গায়ে রোজ কি কারণ
রক্তছিটে।
কোন কারণে ভোটভিখিরি ,ধর্ম করে বেড়ায় ফিরি
শুধিও না
সবাই যখন সু-দিন হাঁকে,  তুমি তখন আঁধারটাকে
খুঁচিও না।
ওই যে ছবি ,ওঁদের চোখে ,এই দুটো দিন আলো ঢোকে
আশার সে যে,
দরকার নেই ওঁদের বলা ,রাজনীতি আজ টিপছে গলা
আঁধার সেজে।
বরং এসো শপথ করি, ওঁদের কথা এবার পড়ি
অন্য দিনেও
উচিত বোধহয় এবার খোঁজা , শিরদাঁড়াটা কিসে সোজা
পরাধীনেও।
সাদাসিধে খুব সাধারণ,  মগজ তবু লৌহগঠন
কি মন্ত্রতে?
খুঁজবো চলো রহস্য সে,   কেন এত অ-বশ্য সে,
উল্টো স্রোতে।
উসকানি দিক যতই ভাষণ ,তুলনাতে ব্রিটিশ শাসন
অনেক ক্রুর,
শিরদাঁড়াতে আনলে সে জোর, দেখতে পাবে আগামী ভোর
পাহাড়চুড়ো।
রাখবো কেন বইভেতরে, বরং মনের বাতিঘরে
জ্বালাই আলো,
হইনা দিনেশ বিনয় বাদল, বুকের ভেতর আঁকুন আদল
কানাইলালও।
নুইয়ে পড়া শিরদাঁড়াকে ,বিপ্লবীরা ওই তো ডাকে
হওনা সোজা,
এসো এবার প্রমাণ করো , ত্রিবর্ণ রঙ আমাদেরও
বুকে গোঁজা।


আর্যতীর্থ