। অবনী।


অবনী তো  বাড়ি নেই কবি।
পড়াশোনা যা করেছে জলে গেছে সবই, চাকরিবাকরি নেই,
রাজনীতি দাদা দিদি বলে গেছে এবারে হবেই,
শুধু ভোটে খেটে জয় এনে দিতে হবে অমুক প্রতীকে।
ঘোড়ার রেসের মতো ঠিক এ,
জয়ী নেতা জ্যাকপট পেয়ে যাবে পাঁচটি বছর,
অবনী ভেবেছে তাই ,এবারে  সুরাহা হবে ওর।
শুধুই অবনী কেন, তপন ফিরোজ মিতা বরুণ আফজল,
সকলে নিয়েছে বেছে নিজেদের দল, দিনরাত মেহনতে দেওয়াল লিখন আর পতাকা ঝোলানো...
অবনী এম এ’তে কত পেয়েছিলো জানো? ফার্স্ট ক্লাস ছিলো..
তারপর কতবার টেট ফেট দিলো, আদালত, আন্দোলন আরো কত কি!
ওই দেখো, কবিকে একলা পেয়ে বেফালতু বকি, এইসবে আজকাল কিছু হয় নাকি,
দাঁড়াও ক্লাবের থেকে ওকে ঘরে ডাকি, এই তো পাশেই ওর প্রতীকের ঠেক,
সন্ধের পরে থাকে কাজও অনেক, পরের দিনের প্ল্যান, চুপচাপ কোণে বেঁধে ডাই করা বোম...
দুমদুমমমমমম...চুপ কবি, চুউউউউপ একদম,
কোথাও ফেটেছে পেটো, বোধকরি বাঁধবে ঝামেলা,
অবনীরা বলছিলো যখন তখন  হবে খেলা। দুম দুম দুম..
আরো কটা,  আজ রাতে ছোটাবেই ঘুম, নির্বাচনের আগে অকালদেওয়ালি।
অবনীইইইই.. আরে বাপ কোনখানে গেলি,
ঘরে আয়, তোর খোঁজ নিতে আজ এসেছে কে দ্যাখ..
রাস্তায় লাশ পড়ে এক, চেনা জামাটার বুকে লাল বানভাসি,
ও কবি, সামনে গিয়ে দেখো, এখনো রয়েছে মুখে হাসি,
চেনো ওকে? কাঁদো কবি, শব্দেরা ভিজে যাক শোকে,
গাল বেয়ে অশ্রু নামুক স্রোতে লোনা...
আর কক্ষনো কারো  কড়া নেড়ে বলতে যেও না,
বাড়ি আছো নাকি অবনী?
ফিরবে না এ বাড়িতে সে কোনোদিনই।


শ্লোগান দিচ্ছে কেউ, কান পাতো কবি,
ভুল হলো, অবনীর লাশ কাঁধে কারা দেয় ধ্বনি...


আর্যতীর্থ