। অবশিষ্টটুকু।


পিরিচে যেটুক সুখ পড়ে আছে,
সুড়ুৎ সুড়ুৎ করে চেটে নিই চলো।
সন্তানের ঘুমন্ত কপালে টুক করে চুমু খেয়ে নিই,
বাবা মা’র সাথে ছোটোবেলা ঘুরে আসি আরো একবার,
চোখে খুনসুটি মেখে সাথীটিকে দুম করে বলি
‘ ভালোবাসো? ছাই!’
যে টুকু আনন্দ এখনো টলমল জীবনে চুঁইয়ে পড়ছে,
এসো তাতে আঙুল ছোঁয়াই।
পুরোনো বন্ধুকে হঠাৎই বলে উঠি
‘ এই শ্লা, রবিবার চেনা ঠেকে  চল,
দু চারটে ঘন্টা তোলপাড় হোক সময়ের ঝুলগুলো ঝেড়ে।’
চলো ঘুরে আসি ফেলে আসা পাড়া,
যে খেলার মাঠে আজ প্রমোটারি রাজ, সেখানে মনখারাপে ডুবে যেতে যেতে দেখে নিই,
বাউন্ডারী হওয়া সেই আদিম বৃহৎ বট ধোঁয়াশা অমান্য করে সবুজ ফলায়।


এসো ,
চোখ তুলে নিই কখনো না শেষ হওয়া সিরিয়াল থেকে, রিয়ালিটি শো’য়ের সুনিপুণ অভিনয় থেকে,
হোয়াটসঅ্যাপের নব্বই শতাংশ অকাজ ,
ফেসবুকে না করলেও হতো কমেন্টের থেকে
ঘড়িকে বাঁচানোর সময় এসে গেছে।
পৃথিবীর ক্ষয়িষ্ণু ধৈর্য্যের সাথে
পাল্লা দিয়ে কমছে মানুষী সুখের ভান্ডার,
যেখানে ইমোটিকনেরা
হাতে হাত রেখে হাসার চেয়ে কমদামী ছিলো।
আজ বাদে কাল,
সুখের একশো শতাংশ মালিকানা পাবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া।


তার আগে,
মায়ের আঁচলে মুখ মোছার মতন
যেসব আনন্দ জীবনের কোণ ঘেঁষে পড়ে আছে আজও,
এসো তাদেরকে জাপটিয়ে কিছুদিন ওম নেওয়া যাক..


আর্যতীর্থ