। অচলায়তন।


যেই শ্মশানে বামুন পোড়েন সেই ভূমিতে শূদ্র নয়,
হিন্দু তোমার মানুষভাগের বঞ্চনাটি ক্ষুদ্র নয়।
‘ গর্ব্ সে কহো’র  করছো বড়াই আজও জারি জাতের লড়াই
পবিত্রতার জ্ঞাপক বলে ছড়াও গোরুর মূত্র ময়,
আজও তোমার মন্ত্র বলে সবার যেন পুত্র হয়।


যে লোক খালি অতীত দেখে ভবিষ্যতে পিঠ রেখে,
আসলে সে চেবায় বসে শুকনো সময়-ছিবড়েকে।
ঘি’য়ের সুবাস স্মৃতির ঘ্রাণে   ভাত জোটেনা বর্তমানে,
কাঙাল তবু লাভের গুড়ের গল্প শোনায় পিঁপড়েকে,
জাত ও পাতের রাখলে বিভেদ সবাই সমান শিখবে কে।


যে সংস্কারে হিন্দু বলো , সত্যি সেটাই ধর্ম কি,
অর্ধেক তার আচার বিচার, বাকি আধেক বুজরুকি।
যোগাভ্যাসে ব্যায়াম বোঝো,    মন্দিরে রাম কৃষ্ণ খোঁজো
ভক্তি কর্ম রাজ জ্ঞান যোগ , কেউ বোঝে তার মর্ম কি,
জন্মতে নয় কর্মে বামুন, ভাবনা তেমন কই দেখি?


তামিলনাডুর ভেলোর জেলা, খুব আধুনিক মানুষজন
শিক্ষাহারে অনেক উঁচু, সবার কাছে মোবাইল ফোন।
শ্মশান যাওয়ার রাস্তা ধরে   বামুন থাকেন কয়েক ঘরে
কাজেই দলিত মৃতদেহের সে পথ দিয়ে নয় গমন,
একুশ শতক উনিশ হলো, হয়নি মানুষ হিন্দু মন।


সমাধানও ভীষণ ভয়ের, জানার পরে গিলছি ঢোঁক,
কর্তৃপক্ষ শোনান হুকুম, ভিন্ন দলিত শ্মশান হোক।
জন্ম থেকে ভিন্ন থাকুন, পোড়াক দেহ অন্য আগুন,
শূদ্র এবং ব্রাহ্মণদের পৃথক থাকুক সুখ ও শোক,
আলোর দিকে যাওয়ার ছিলো, অন্ধকারে ফিরছে লোক।


‘গর্ব সে কহো ‘বলবে কে আর, নিচের দিকে নামছে চোখ।


আর্যতীর্থ