।আমার প্রার্থী বাছাই।


ভোটপুজোর এ বাড়বাড়ন্তে
সাপ নেউলের শাপশাপান্তে
কান পাতা দায়।
ভোটের কালে সবাই সবার বিরোধীদের গল্প শোনায়।
কি করেছে কোথায় কে রে,
সেসব ছেড়ে অমুক প্রতীক কি করেনি,
দেশের থেকে মাল সরালো কে ফরেনে,
এসব নিয়ে তরজা লড়াই,
নিজের ছাড়া অন্য সবার চরিত্রতে কালো কালি লেপছে সবাই।
দিনের শেষে ভূতের বেশে ভুষকালো সব দাঁড়িয়ে দেখি,
কোনটা আসল কোনটা মেকি
বোঝার মতো কষ্টিপাথর কোথায় পাবো?
সত্যি যিনি পথ দেখাবেন ,
নিজের আগে দেশ শেখাবেন ,
তেমন নেতার স্বপ্ন আঁকায়
আমার ভোটের রঙ মেশাবো
কেমন করে?
প্রার্থী বাছার উপায় কিছু মাথায় ঘোরে..


লিস্টিখানা হাতে পেলেই বাদ দেবো ঠিক,
মোড়কমাফিক জড়িয়ে থাকা হরেক প্রতীক।
সস্তা কোনো গিফ্টকে ভরে,
যেমনটা লোক রাংতা মোড়ে
চকচকে খুব,
ঠিক তেমনি প্রতীকগুলো,
চক্ষে দিয়ে রঙের ধুলো
বানায় বেকুব।
আজকে যে হাত কাল সে ঘাসে,
কাস্তে ছেড়ে পদ্মে আসে,
লোক থেকে যায় একই রকম
শুধু মুখের বকম বকম রঙ পাল্টায়,
লিস্ট খুলে তাই তাবত প্রতীক ডাস্টবিনে যায়।


রইলো পড়ে মানুষেরা,
প্রতীকবেড়া করেছিলো আড়াল যাদের।
জড়ো করে সেই মাথাদের
দেখতে হবে মামলা কোনো আছে নাকি কারো নামে।
ল’মেকারই ভোগে যদি ব্রেক ব্যারামে,
রাষ্ট্র তবে বেআইনিকেই আইন বলে।
কেউ যদি তাই ফেঁসে কেসে ক্রিমিনালে,
সটান খারিজ,
আইনমানা লোকই দেশের রক্ষা-তাবিজ।


তারপরে তো খুঁটিয়ে দেখা, পয়সা কত।
ভারত নামক গরীব দেশে স্বভাবত
অনেক ধনীই ভোটে দাঁড়ায়।
কখনো যে পা দিলোনা গরীব পাড়ায়,
তার ইশারায় পাঁচটা বছর উঠবো বসবো লেজ নাচাবো,
তা হবে না।
বড়লোকে আমার বাপু ভোট পাবেনা।


চারনম্বর, করেনটা কি?
রাজনীতি তার পেশা নাকি
অন্য কোনো কাজ করেছেন,
নিজের কোনো যোগ্যতাতে
অন্য কোথাও হাল ধরেছেন
দেখতে হবে।
ডাক্তারি বা মাস্টারি হোক,
কিংবা চাষী , মুর্গী পালক,
উকিল গায়ক অভিনেতা,
মোটের ওপর স্বাধীনচেতা
রাজনীতি তার পেট চালানোর নয়তো উপায়,
যার সেটা হয় গদি পেলেই হামলিয়ে খায়।


মিলিয়ে এসব প্রার্থী পাবো আমি যাকে,
আমার ভোটের যোগ্য বলে মানি তাঁকে।
হোন না তিনি যেই প্রতীকই,
নেতা বলে তাঁকেই দেখি,
পাঁচটা বছর দিলাম সঁপে দেশ হাতে তাঁর,
জানি তিনি দেখবেন ঠিক মা’কে আমার।


আর না পেলে?
সবাই যদি এই হিসেবে ফেলের কোটায়,
ই ভি এমে ভোটটা আমার দেবো নোটায়।


দেখি আমার একখানা ভোট কাকে জোটায়..


আর্যতীর্থ