। অন্ত্যজ।


অরণ্যে রোদন করে নিষ্ফলা দিন
রাক্ষস তুলে নিয়ে গেছে পত্নীকে,
সন্ধান পাওয়া যাবে তার আশা ক্ষীণ
বন্ধুবিহীন লোক যায় কোনদিকে।
হঠাৎই স্মৃতিতে আসে অন্ত্যজ নারী
যে আছে প্রতীক্ষা করে তার পথ চেয়ে
যেহেতু সে আজন্মকাল বনচারী,
সাহায্য কার থেকে বলে দেবে মেয়ে।
সেই মতো শবরীর সাথে করে দেখা
তাঁর মুখে তোলা ফল কুমার চেবান,
আছে তার সেনাবল জোগাড়ের ঠেকা,
তাই তো আশিষ দেন সেজে ভগবান।
জনম সফল হলো ভীল সাধিকার
উঁচুজাত ঈশ্বর টেনে নেন কাছে,
ফলাফল শীঘ্রই মিলে গেলো তার,
জানা গেলো সুগ্রীব কোনখানে আছে।
এমনকি অবতারও অসহায় হলে,
বন্ধু পাতান নিচু গুহক শবরী,
একবার এসে গেলে ক্ষমতা দখলে
কি হয় এবার তা নিবেদন করি..


কুমার তখন রাজা, প্রজাবৎসল
( পত্নী অভাগী তাই সে প্রেম জোটেনি)
একদিন বাইরে কে চেঁচায় প্রবল,
শশব্যস্ত তাঁকে ডেকে নেন তিনি।
ব্রাহ্মণ এসেছেন শব কাঁধে নিয়ে
পুত্রটি অকালেই মারা গেছে তাঁর
নির্ঘাত পাপাচার বসেছে জাঁকিয়ে
বিহিত করতে হবে মহান রাজার।
সেই মতো রাজা যান পাপ সন্ধানে
শূদ্র কোথায় নাকি তপস্যা করে,
মানতে চায় নি সে যা সকলে মানে,
দেবত্ব পেতে চায় দেবতার বরে।
শৈবজ পর্বতে অবশেষে মেলে
পা দুটি ওপরে তোলা নিচুপানে মুখ
রাজার প্রশ্নে সে নির্ভীক বলে,
শূদ্রের সন্তান আমি শম্বুক।
চোখের নিমেষে বের করে তরবারি,
রাজা দেন তাপসের মাথাখানি কেটে,
বর্ণ নিয়ম ভাঙে যেই পাপাচারী,
এভাবেই তার ঋণ রক্ততে মেটে।


প্রয়োজন হলে তবে শূদ্রটি মিতা,
তা নইলে অনায়াসে খুন করা যায়,
অন্ত্যজ বাল্মীকি লেখেন কবিতা,
অবতার করেননি কোনো অন্যায়...


আর্যতীর্থ