। অন্য ঈশ্বর।


যিনি এত মিছিলের লোভী, তাঁকে কেন পুজবো নিভৃতে,
বদ্ধ যে হাজার নিয়মে, মুক্তি সে পারবে কি দিতে?
যত মত তত পথ শুনি, সে রাস্তা যায় কোনদিকে,
ধর্মের মানে প্রাণহানি, সভ্যতা গিয়েছে তা শিখে।


যার কাছে টাকাকড়ি বেশি, তার তত বিশেষ সুবিধা
ভক্তিতে শুধু তাঁকে মেলে, সে সত্যে জমে আছে দ্বিধা
গদগদ ভক্তিতে ছোঁড়া ,ইঁট বোমা কিংবা বুলেটে
গলগল শোণিত প্রবাহে, ধর্মের খাঁই কবে মেটে!


কার কাছে আর্জি জানাবো, আত্মাকে আশ্রয় দাও,
যেই ভাবে ওরা পুজো বলে, পাল্টালে দোষ হয় তাও।
সেই নাকি পেতে পারে কাছে, মন থেকে যে ডাক দেবে
ভগবান পাহারায় রেখে, কারা বুঁদ অন্য হিসেবে।


ঘরের কোণেতে বসে পুজো, আজ বুঝি তামাদি সেসবই
হিংস্র মিছিল ডাক দেয়, ‘ ভাঙ, তবে ধার্মিক হবি।’
সেই ভাঙা কাকে ও কিভাবে, নির্দেশ কোথা থেকে আসে,
যথারীতি ঢাকা পড়ে থাকে, সুচতুর কথা বিন্যাসে।


যার নামে কোর্টকেস চলে, রাস্তায় হয় খুনোখুনি,
যত তাকে ঈশ্বর ডাকো, আসলে সে বড় মস্তানই।
মনে বনে কোণে করা ধ্যানে, চেতনা সঁপবো কাছে যাঁর
যার ছোঁয়া সব শুভ জুড়ে, হেরে ভূত তাবত আঁধার,


উন্মুখ হয়ে বসে আছি, কেউ দাও সন্ধান তাঁর...


আর্যতীর্থ