। অসততা।


সৎ  লোকটাকে সব্বাই চেনো, এই তো থাকেন আশেপাশেই
ট্যাক্সি চড়ার পয়সা জোটে না, যাতায়াত তাঁর এখনো বাসেই
অফিসে সবাই ঠারেঠোরে হাসে, বোকার পকেটে ঢোকেনা ঘুষ
সই প্রতি কিছু নোট খুঁজে নিলে, হেসেখেলে খেতো সাতপুরুষ


দায়িত্ব যদি না থাকে কাঁধে, সৎ বা অসতে ক্ষুদ্র তফাত
পয়সা যখন ফাতনা নাড়ায়, বেশি লোক গেলে বঁড়শি কপাত,
দু চারজনাই আনমুখী হয়, পাগল বা বোকা যা আখ্যা দাও
এমন বোলো না এমন খ্যাপার ঠিকানা জানোনা তুমি একটাও


সৎ থাকা সেই মানুষ হঠাৎ বাজারমোড়ে ওঠেন হেঁকে
আর কটা দিন দেখে নিয়েই অসৎ হবো এবার থেকে
যেই দেশে লোক ছল করে যায় শিশুর খাওয়া পোলিওতে
পারবোনা হে সে সিস্টেমে পাঁঠার মতো বলি হতে।


ব্যাপারটা কি? রোজ ঘোটালায় যায় আসেনা কিচ্ছুটি যাঁর,
আজকে হঠাৎ কি ঘটলো যে বদলে গেলো বেবাক বিচার?
কোন সে রাগে ফোটেন তিনি, কোন সে ভয়ের বিভীষিকায়?
ভাইরাস এক সংক্রমণের, ঢুকিয়েছে কে পোলিও টিকায়।


ক’বছর হয়ে গেছে পোলিও গিয়েছে চলে এই দেশ থেকে,
সে ব্যাপারে গর্বিত আপামর ভারতের লোক প্রত্যেকে।
ভুল হলো, দুঃখতে ছিলো কিছু ব্যবসায়ী টিকাকারখানা,
রোগ নির্মূল হলে টিকা নিষ্প্রয়োজন, সেই কথা সকলের জানা


সুতরাং ভ্যাক্সিনে ভরা ভাইরাসে, ধ্বংস করতে যাকে বলেছিলো হু,
এমন দেশজ হলে পড়শি লাগেনা কোনো ডেকে দিতে কু।
টিকাই ছড়াক অসুখ দেশে , ব্যবসায়ীদের প্ল্যান ছিলো তা,
বলতে পারো, আর কতটা নামতে পারে অসততা?


যে কারখানা জোগাচ্ছিলো যুদ্ধে জেতার অস্ত্র বেবাক,
কার দোষে তার অসততায় নজরদারির এতটা ফাঁক?
ঘুষ দিয়ে সব পার পাওয়া যায়, নিয়ম দেশের কোন সাবেকে
সৎ থাকবার যুক্তিগুলো ক্রমেই দেখি হচ্ছে ফিকে।


সৎ লোকটাও অসৎ হলে, সেই সুনামি সামলাবে কে?


আর্যতীর্থ