।আসামী।
                
ঈশ্বরের সন্তান তার অনুগামী ঈশ্বরের সন্তানদের বললেন,
ওই উপাসনাস্থলে ঈশ্বর নেই।
সন্তানেরা অমনি ঈশ্বরের নাম নিয়ে অধর্ম দমনে চললেন।


উপাসনাস্থলে তখন ঈশ্বরের নামগান চলছে।
সকলেরই কিছু না কিছু চাই তাঁর থেকে,
প্রার্থনা ছদ্মতে নিজস্ব প্রয়োজন মন খুলে লোকে তাঁকে বলছে।


ঈশ্বরের সন্তানেরা গুলি চালালেন উপাসনাস্থলে গিয়ে ।
লালে লাল হয়ে গেলো মেঝে, রক্তের ছোপ লাগে পবিত্র বেদীতে।
জীয়ন্ত থেকে শব হয়ে ঈশ্বরের সন্তানেরা একে একে পড়লেন লুটিয়ে।


ঈশ্বরের সন্তানেরা জড়ো হলেন প্রতিরোধে এ হত্যালীলার।
গুলির বদলে গুলি, চোখের বদলে চোখ আজ সামাজিক দাবী।
সুতরাং মোকাবিলা হলো, ঈশ্বরের সন্তানের হাতে ঈশ্বরের সন্তান মরলো আবার।


মরবার আগে, বন্দুকবাজ আর বন্দুকহীন, দুই সন্তান নিলো পবিত্র নাম।
সব শেষ হলে বেঁচে থাকা সন্তানেরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বললেন,
হে প্রভু, হে প্রিয় থেকে প্রিয়তর, তোমারই জন্য আজ রক্ষা পেলাম।


ঈশ্বর প্রমাদ গুনলেন। তাঁর ওপরে আনা অভিযোগ বাড়লো আরো।
হত্যার সহযোগিতা এবং বিশ্বাসভঙ্গের বিভিন্ন ধারা তো ছিলোই,
যুগপৎ মারা আর বাঁচানোর দায়ভার চাপলো এবারও।


মানুষ সৃষ্টির পরদিন থেকে ,মহাজাগতিক এজলাসে ঈশ্বর দাঁড়িয়ে কাঠগড়ায় ।
জজ ও জুরির আসনে তাঁর সন্তানেরা । ঈশ্বর মিনতি করেছেন বহুবার কাতরস্বরে,
‘ সুধীমন্ডলী দয়া করবেন। এই অনন্ত কারাবাস থেকে এইবার বন্দী মুক্তি চায়।’


স্বপক্ষে কোনো উকিল জোটেনি তাঁর। বেচারা ঈশ্বরকে আজ কে যে বাঁচায়!


আর্যতীর্থ