সম্প্রতি পিন্টু হাজরা বলে এক ব্যক্তি আমার লেখা ‘ বিকর্ণ’ নিজের বলে দাবী করে বসে। সেই নিরিখে এই লেখাটি।
           । আসল নকল।


সরস্বতীকে খেঁদি পেঁচি ভাবে হরেক ফেরেববাজ-রা
আমিই আসল , হুংকারে বলে ঝুটো ডক্টর হাজরা।
আসল কবিরা কাচুমাচু হয়ে বলে ‘তবে কে আমি?
অর্ঘ্য দেবার শব্দের খোঁজে ছন্দগহীনে কে নামি?’
নকল হাজরা বলে হাঁকডাকে তুই ব্যাটা ঠগ বেনামী।


আসল বলেন ম্রিয়মাণ হয়ে, আমি তো পূজারী নেহাতই,
কুড়িয়ে যা পাই অঞ্জলি দিই, সেটুকুও হবে বেহাতই?
তাতে আরো ওঠে তেতেপুড়ে যেন নকল পার্শ্বচরেরা,
নিরীহ আসল ভাবে কাড়বে না সাত বা সতেরো চড়ে রা।
সাঁই সাঁই বেগে ফেসবুক বেঁধে শত বিদ্রুপ শরেরা।


বাণী যে আসলে শান্তিরও দেবী, আর যত কিছু সুন্দর,
স্বভাবত তাঁর পূজা করে যারা, তাদেরও করে সে গুণ ভর।
তাবলে নকল হাজরারা  যদি ভেবে বসে তারা দুর্বল,
দীপক রাগে যে আগুন জ্বলেছে, সেটা তবে কার সুর বল।
মিথ্যা কখনো সত্যি ঢাকে না, কত আর যাবে দূর খল।


কূট হাজরারা ধরা পড়ে যায় , মুকুলেরা চিনে নেয় ঠিক,
ভেঙে পড়ে ভান বেশি জেরা হলে, কেটে পড়ে দেখে বেগতিক।
বাগদেবী যার ইষ্টদেবতা, মিথ্যাতে তার ভয় নেই,
অজপায় যারা সত্যকে জপে, তাদের শব্দে ক্ষয় নেই।


ঘটনার শেষে হাজরারা দেখে, আসলের পরাজয় নেই।


আর্যতীর্থ