। বছরের জন্মদিনে।


আজ বছরের জন্মদিন, পানপেয়ালায় সুখের ঢেউ,
রাংতা মোড়ক তাথৈ সড়ক, সময় যেন অন্য কেউ,
যেমন করে সব হেরো লোক, স্বপ্ন দেখে কাল জেতার
সরগমে ভুল সামলে নিয়ে নবীশ বাঁধে ফের সেতার,
মৎস্য পেতে ব্যর্থ জেলে জাল কাঁধে নেয় পরের ভোরে
নতুন বছর পয়লা এলে বুক বেঁধে নিই তেমন করে।
সবাই জানে এসব আশায়, কল্পিত সুখ কুহক মেশে,
আগামী তার রাস্তা বানায় অনিশ্চিতের বিপদ ঘেঁষে,
হোঁচট খাওয়াই নিয়ম ছিলো, ফুরিয়ে যাওয়া সদ্যভূতে,
ভাবীকালের প্রারম্ভিকেও , হয়না বদল তার কিছুতে।
তবুও ঝালাই মেরামতি, জীবন জুড়ে চলতে থাকে,
রাতের আঁধার ভয় দেখালে, ভোরের সূর্য খেলতে ডাকে
মন্দিরে বা মাজার গেলে , যেমন মানত বাঁধে সুতোয়
তেমনি আশায় মাঞ্জা দেওয়া, প্রতি বছর শুরুর ছুতোয়।
আকাশ একই থাকবে জানি, বদল হতেও পারে হাওয়া,
লড়াই করার আরেকটা সাল, সেটাও বলো কম কি পাওয়া।


এসো আবার পুরনো সব শপথ টাঙাই নতুন ফ্রেমে
আঁধার যতই ধমক বাড়াক, ভয় পাবো না যুদ্ধে নেমে।
বিষণ্ণতা ওত পাতে আজ  আনাচ কানাচ গর্ত খুঁড়ে
ভরসা দিলে এবং পেলে , খাদের থেকেও দাঁড়াই ঘুরে
উঠে আসার ভরসা হবো  , পড়তি মানুষ হাত বাড়ালে
হোক না সেটাই এবার ব্রত জন্ম হওয়া নতুন সালে।
কিছু সখের ব্যাপার ছিলো, হয়নি সময় সাধপূরণে
রুটিন চাকা বড্ড ভারী, সময় গেছে তার ঘুরনে,
পয়লা দিনে ঠিক করা যাক, সে লক্ষ্যকে বিঁধবো এবার
ক্যালেন্ডারের দেখলে বেচাল সাহস থাকুক ধমক দেবার।
বন্ধু যারা আগেই ছিলো, থাকুক তারা আপন তেমন,
নতুন কোনো সুজন পেলে, বন্ধু তাকেও করুক এ মন।


আজ বছরের জন্মদিনে, হাত বাড়ালাম আলোর দিকে,
আমার স্বজন আর স্বদেশে, আঁধার ক্রমে হোক না ফিকে।


আর্যতীর্থ