। বাহক।


মুহূর্তের মুহুরি ছাড়া কবি কিছু নন,
রাগ অনুরাগ ক্ষোভ দ্বেষ প্রলোভন,
সে সব কথায় বেঁধে হিসেবী আখরে,
দলিলে লেখেন যুগ কালির আঁচড়ে,
ইতিহাস ভাবে যাকে বর্জ্যকথন।


ইতিহাস, সে তো শুধু রাজাদেরই চেনে,
তার বেশি কিছু তার লাভ নেই জেনে,
কোন রাজা কার পরে ,তার পরে কে,
রোজনামচায় তাই পাতা ভরে লেখে,
ফালতু ঘোরে না সে  মাটি ঘাম ছেনে।


সে কাজ কবির জেনো, শুধুই কবির
রোজ হয়ে মুছে যাওয়া যে জলছবির
খোঁজই রাখে না কেউ ভাবীর দাবীতে,
সেই সব ক্ষণিকাকে স্থায়ী রূপ দিতে,
কবির কলম ঘিরে শব্দের ভিড়।


কিরকম ছিলো লোক অতীত ভারতে?
ইতিহাস অপারগ সীমা পার হতে,
তার তো প্রমাণ চাই। তথ্যরা কই?
আসলে তো সে রাজাদের মানে-বই,
আসেনি অকাট্য ভেসে সময়ের স্রোতে।


অথচ আমরা জানি ব্যাস বাল্মীকি
বহুযুগ আগে থামা আবেগের ধিকি
এখনো পোড়ায়। প্রেম স্নেহ ক্রোধ ঈর্ষারা
অতীত পেরিয়ে এসে আজও দেয় নাড়া,
ইতিহাস বলে না যা, কবিতায় শিখি।


কবিরা সচরাচর সাধারণ লোক,
ধুলোমাটি মাখা, তাই খাঁটি থাকে চোখ।
ঘাম রুটি রুজি কথা দিনের মিছিলে
কবিতায় লেখা থাকে অমর দলিলে,
ইতিহাসে সেসবের ঠাঁই নাই হোক।


কবিতা রাজার নয় ,প্রজার বাহক..


আর্যতীর্থ