। বড়রা শুনবেন।


মাসিমা ও মেসোমশাইগণ,
থুড়ি থুড়ি ,কাকু ও কাকিমারা,
এক্সট্রিমলি সরি, এক্সকিউজ মি,  আঙ্কলস অ্যান্ড আন্টিস,
আমরা, মানে ক্লাস দশ আর বারো
দুহাজার একুশে দিলাম যারা,
আপনাদের কিছু বলতে চাই।
ইমপর্টান্ট, সো লিসন টু দিস, প্লিজ।


উই ডিডন’ট চুজ কোভিড।
না,  আমরা বাছিনি অতিমারীকে,
আপনাদের মতো আমরাও জ্বরের ভয়ে ঘরের ভেতরে কেঁপেছি।
আচমকা স্কুল যাওয়া ছেড়ে
মোবাইলে ক্লাস করা নিতে হলো শিখে,
মা বাবার হাসিমুখ ক্রমশ বিষণ্ণ হতে আমরা বাড়িতে বসে দেখেছি।


আমাদের হাতে শুধু পড়াশোনা ছিলো,
কিভাবে চলবে সেটা নয়।
ভোটের প্রচার চালু, অথচ বন্ধ স্কুল,
এ নিয়ম করেছেন বড়দেরই সরকার,
আমাদের মতামত কেউ চায়নি।
টিচারদেরও কেউ জিজ্ঞেস করেননি
কি করলে ঠিক হয়,
উই ওয়্যার জাস্ট টোল্ড টু ফলো।
‘এটা অতিমারী, সকলের ঘরে থাকা দরকার।’


আপনারা সান্ত্বনা দেবেন, অনলাইন ক্লাস চালু ছিলো।
প্লিজ ভাবুন, রিমেমবার ইয়োর স্কুল ডে’জ,
শুধু কি পড়াশোনার জন্য স্কুল?
বন্ধুত্ব, খেলাধুলা, খুনসুটি, টিনএজ লাভ,সব,  সব ওখানে
আমাদের পুরো কৈশোরকাল ঘরের ভেতরে শেষ হয়ে গেলো,
নেভার টু রিটার্ন উই গেস,
মেমরিজ বলতে কী থাকলো বলুন তো?
নেক্সজেন  বুঝবে কি স্কুল ডে’জ মানে?


এটা ওয়ার। ভীষণ যুদ্ধ।
অ্যান্ড লাইক অল ওয়ারস, চিলড্রেন আর অন দি লুজিং সাইড।
কারোর বাবা মা নেই, থাকলেও রোজগারে টান,
জ্বর খায় ছোটোবেলা আজ সব ঘরে,
আমরা কোথায় যাবো, কোথায় পালাবো, দেয়ার ইজ অ্যাবসোলিউটলি নো হোয়্যার টু হাইড,
ভারচুয়ালের এই শিক্ষার বোঝা নিয়ে 
রিয়েল ওয়ার্লডে গিয়ে লড়বো কি করে?


এত কিছু হারিয়ে ফেলেছি, ফেলছি ও ফেলবো আগামী সময়ে।
উই আর ইন আ আনচার্টার্ড লেন,
হুইচ ইজ ডার্ক অ্যান্ড ডেঞ্জারাজ টু।
পরীক্ষা ছাড়া এই মার্কশিটয়ের সুবিধাটা এর সাথে পুওরেস্ট বার্গেন।


আঙ্কলস অ্যান্ড আন্টিস,
এক্সামলেস রেজাল্ট নিয়ে মিম করবার আগে,
প্লিজ এই কথাগুলো ভেবে দেখবেন।


আর্যতীর্থ