। ব্যাটন।


এইবারে ব্যাটনটা আর কারো হাতে দিতে হবে, নতুনতর কেউ!
এই ভেবে , পুরু চশমার মধ্য দিয়ে কবি জনসমুদ্রে প্রজন্ম খোঁজেন, কোথায় সে সন্ধানী ঢেউ,
যার শব্দের আঘাতে ঘুমন্ত কুল কেঁপে উঠে বলবে, ভাগ্যিস জাগালে,
নয়তো দেরী হয়ে যেতো । সমস্ত চরাচর যখন নিকষ অন্ধকারের  নাগালে,
সে সময় ‘ জাগতে রহো’ বলবে তাঁরই মতন অথচ ঠিক তাঁর নকলে নয়,
কবি খুঁজছেন তেমন কলম, রঙের রাঙানিতে নির্ভয় ছান্দিক, রামধনু আখরে যে ধরবে সময়।


বহুদিন ধরে সময়ের সমাচার পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে
তাঁরও তো বয়েস হচ্ছে, শরীরে ব্যাধির কোপ, ছুটি নিতে ইচ্ছে করে,
কিন্তু প্রত্যাশা কমে না যে। প্রতি আঁধারের আক্রমণে আহতরা হাত বাড়ায় তাঁর দিকে,
নিহতেরা তাঁর কাছে স্মরণিকা দাবী করে। নিরস্ত্র কলমে তিনি চলেছেন প্রতিবাদ লিখে,
সে কত দশক ধরে। আশেপাশে এত কবি , চারদিকে ছড়ানো  অযুত কথায় এত কবিতার বই,


কিন্তু সে গুরুভার ব্যাটন বওয়ার মতো শিরদাঁড়া সোজা রাখা কলমটি কই?


আর্যতীর্থ