। ভৌতিক।


আজবনগরে রাজা মহা দুশ্চিন্তায়,
স্বপ্নের ভয়ে তাঁর কেঁপে কেঁপে দিন যায়।
এমনিতে নৃপতির ঘুম ভারী পোক্ত
ভাঙেইনা যত গোল করে যাক লোক তো
কিন্তু গিয়েছে চলে ঘুম যাওয়া সুখ রে
ঘটনার শুরু সবে হলো গত শুক্রে।
যেই রাজা দিয়েছেন তাঁর দিবানিদ্রা
অমনি স্বপ্নে আসে ভয়াল অতীতরা।
অতীত কি বুঝলে না? বুদ্ধি কি হাঁটুতে?
খোয়াবে দেখায় ভয় গেছো মেছো ছা-ভূতে।


রাশি রাশি চাষী ভূত, বাসীমুখ হাঁ করে,
বলে জমি জমা লোটে তোর যত চাকরে।
চারদিকে বাড়িঘর, পুকুর বা গাছ নেই
আগামী ভূতের ঘর দাবী করে আজকেই।
খোনা গলা ঋণী ভূত এসে চায় জানতে
টাকা তার চলে গেছে কার চিটফান্ডে?
চলে গেছে বেশ কথা, কিছু হোক উদ্ধার
সেটা দিয়ে আস্তানা করে নেবে ভূত তার।
বেকার ভূতেরা এসে শুরু করে চেঁচানো
এখনো ফাঁসের দড়ি গলা জুড়ে প্যাঁচানো,
বলে দ্যাখো জীবন্তে চাকরিটা পাইনি,
পেয়াদার ভয়ে তবু একটু চেঁচাই নি,
ভূত হয়ে এখানেও নেই দেখি কোনো কাজ
আগামীতে যাবো কই ,এরকম হলে আজ?
এরকমই কত ভূত চলে এসে খোয়াব-এ
বলে কিছু করো , নয় শান্তিটি খোয়াবে।
ভূত বলে হেলাফেলা করো যদি এভাবে
ভাবীকালে ভূত এসে তবে মাথা চেবাবে।


আতিপাতি খুঁজছেন রাজা পথ মুক্তির
স্বপ্নে জবাব দিতে ভৌতিক যুক্তির।
এমনিতে প্রজাদের নিয়ে রোজ ভাবনায়
বুঝি কেউ চোনা দিলো সুস্বাদু জাবনায়,
তার ওপরে ভূত যদি দাবী করে ঘর তার
কিভাবে বেচারা রাজা চালাবেন সরকার!
রাজাকে এমন দেখে বললেন মন্ত্রী
হুকুম করেন যদি এক সমাধান দি।
বাঁশ যদি না থাকে বাজবেনা বাঁশরি
ভেঙে দিন ভূতেদের  সবকটা আসরই
এখন শান্ত আছে, কিন্তু সে কদ্দিন
আগামী আসার আগে সব প্রেত বাদ দিন।


সমাধান পেয়ে রাজা নেচে নেন ধিন তা
সব ভূত ভেগে গেলে থাকবে না চিন্তা।
দেশ থেকে দূর হবে ভৌতিক প্রদূষণ
মন্ত্রী খেতাব পান আজগুবি-বিভূষণ।
যেই ভূত দল আসে সেই রাতে স্বপ্নে
এভিক্ট নোটিস হাতে ধরালেন যত্নে।


আজবনগরে জেনো আজ কোনো ভূত নেই
আগামীতে কি হবে জানা যাবে ভাবীতেই।


আর্যতীর্থ