। ভয় পাই না।


দেখুন মশাই ,রাইকে আমি ভয় পাইনা মোটে।
শুনি নাকি পুরুষ কাঁপে বউয়ের ভয়ের চোটে,
‘শুনছো’ বলে ডাকলে নাকি অমনি গেলে ঢোঁক
শুনুন ভায়া, জেনে রাখুন ওসব বাজে জোক।


এই যে দেখুন মানিব্যাগের মধ্যে রাখা রাইয়ের ফটো,
প্রেমের ছিটে রুটিনে চাই এমনতর  ছোটোখাটো
সমস্যা যেই দাঁত খিঁচিয়ে দাঁড়ায় আমার কাছে
ফটো দেখি আর ভাবি তা  তুচ্ছ রাইয়ের কাছে..


ভয়ের কোনো ব্যাপারই নেই, শিখুন আমায় দেখে
সংসারেতে চলতে শিখুন  সামঞ্জস্য রেখে।
বড়সড় সব ডিসিশন আমিই যেমন নিয়ে থাকি
ছোটোখাটো অদরকারী , ওসব রাইয়ের জন্য রাখি।


কোথায় এবার ঘুরতে যাবো,বাজার করা কোন দোকানে,
কিসের খাতে কত বাজেট ওসব ব্যাপার রাই-ই জানে।
অনুষ্ঠানে পরবোটা কি, কার সাথে ঠিক মিশবো কত,
ওসব ছেঁদো ছোটো ব্যাপার আমার ঘাড়ে নয় অন্তত।


কিন্তু যখন হচ্ছে কথা ট্রাম্প কিংবা পুতিন নিয়ে,
একটি কথাও বলবে না রাই আমার মতের পাল্টা দিয়ে।
অর্থনীতির তাবত গলদ, করুণ নায়ার বাদ যে কেন,
এসব বড় ব্যাপারগুলোয় আমার মতই মান্য জেনো।


ব্যাংক থেকে যে কার্ড দিয়েছে এসেছে তা আমার নামে
রাইয়ের কাছে রেখে দিয়ে আমি আছি খুব আরামে।
আরে মশাই ভয়েতে নয়, ইচ্ছে করেই কার্ডটা রাখা,
পড়েননি কি রামকৃষ্ণ, টাকা মাটি , মাটি টাকা?


বউকে আবার ভয় কি মশাই, সিংহী তো নয় কামড়ে দেবে,
মুখ খোলবার সময় শুধু, কথা বেরোয় একটু ভেবে।
হিস্ট্রিতে সব বরেরা ফেল, বৌরা একশো একেবারে,
বছর দশেক পরেও শোনায় তারিখ সহ রেকর্ডারে।


যাহোক সে সব মেনে নিলে, ঘরের ভেতর শান্তি থাকে,
তাই বলে কি কাঁপবো ভয়ে, ‘শুনছো’ বলে রোজের ডাকে?
এই খেয়েছে, রাইয়ের গলা, আমায় আবার ডাকছে কেন..


দেখুন মশাই , যা বলেছি রাই জানেনা ওসব যেন!


আর্যতীর্থ