।  বিবাহ বিবাদ বিসংবাদ।


দেখো ভাই বলে দিই, জটিলতা খুলে দিই,
( তলিয়ে ভাবলে খুব সরলই)
রোজ ভাবো আর কবে ,ঘরসাথী সুখী হবে
দিনমন্থনে ওঠে গরলই।
বিয়ে করে ভালোবেসে ,এখন গিয়েছো ফেঁসে,
কথা হলে হয় শুধু কলহ
হাঁউ মাঁউ ফোস ফোস,  সকলই তোমার দোষ
মন কয় সন্ন্যাসে চলো গো।
ধ্যাত্তেরি সংসার, শান্তিটি ছারখার,
বিবাহিত হয়ে হয় সুখী কেউ?
যদিতং হৃদয়ং  ,ইত্যাদি যত ঢং
আসলে নিচ্ছে খুব ঝুঁকি কেউ।
প্রেমিক প্রেমিকা থেকে, একগাদা লোক ডেকে
ঘটা করে দম্পতি হয় যেই,
পিঠে ঠেকে যায় পিঠ, দিনরাত খিটমিট
ঝামেলারা চলছে ও চলবেই।
সকলেই জানে বেশ, প্রেমের যেখানে শেষ
সেখানেই হয় শুভদৃষ্টি
ফুলশয্যার পরে, কে জানে কেমন করে
ঘরে ঢোকে ঝগড়ার বিষটি।
এ ব্যাপার নিয়ে শুনি, ভেবেছেন নানা মুনি
যথারীতি নানা হয় মত তার,
আমি বাপু কম বুঝি ,বলে দিই সোজাসুজি
বিয়ে করে ঝগড়াটা দরকার।
বাড়ি থেকে বেরোলেই, বারান্দা পেরোলেই
শুরু করে অভিনয় সকলে
মুখে এনে দেঁতো হাসি,  মিছেকথা হয় চাষই,
পুরোটাই নকলের দখলে।
বাইরে ঝামেলা হলে ,তর্ক ও কোলাহলে
পরিবেশ হয়ে ওঠে বিশ্রী
ঝামেলা এড়াতে তাই ,বিরক্তি গিলে খাই
জিভে আনি আপোষের মিছরি।
শুধু এক ‘ওর’ সাথে ,রোজ হওয়া ঝগড়াতে
ঢাকতে হয়না মুখ ছদ্মে,
তুমুল ঝগড়া করে ,বালিশরা আসে সরে
ঠোঁট ঠাই নেয় ঠোঁটমধ্যে।
সুতরাং বিবাহিত , কোনো দোষ হয়নি তো
মন খুলে হতে পারো বিবাদী
এই সব ঝগড়ায় ,ভরসারা ভিত পায়,
সোনুমোনু প্রেমে নেই সে স্বাদই।


আর্যতীর্থ