। বিজয়া।


সারি দেওয়া লালের পালা শেষ, এবারে আবার কালো তারিখের চাপে নিয়মের গতে বাঁধা তাসেদের দেশ। অনাবিল বেরুটিন যাপনজোয়ারে আসে অবশেষে ভাঁটা।
ভিড় ঠেলে পায়ে পায়ে মন্ডপে হাঁটা, আপাতত তাকে তোলা এক বছরের মতো। মাঝে মাঝে একদিন পুজো আছে যত,সেসবে পালন বেশি, উৎসব কম, বুঝতে না বুঝতেই তিথির অতিথি হওয়া সময় খতম। ভাসানের পর তাই মনখারাপের পালা। ভেসে যায় একদা ভক্তিমেশা গাঁদাফুল মালা, ক্রমশ কাঠামো হয় মৃন্ময়ী রূপ, মন্ডপে একা দীপ জ্বলে নিশ্চুপ।
জমে ওঠা সুখগুলো বাঁটোয়ারা এইবার শুভ বিজয়ায়। তড়িঘড়ি লোকজন কাজে ফিরে যায়, তার আগে আত্মীয় বন্ধুস্মরণ। বদলে গিয়েছে আজ চিঠির ধরণ, শ্রীচরণকমলেষু বলে নীল ইনল্যান্ড আজ অধরা। বদলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আসছে সব ডিজিটালে গড়া, ব্যস্ত জীবনে ফরওয়ার্ড করে দেওয়া কনট্যাক্টস বুঝে, হিসেবের কড়ি গুনে স্নেহ ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাকে গুঁজে, এটাই নিয়তি কলিযুগে।আঙুল ঘষার রোগে চিঠিরা নিয়েছে ছুটি কবে ও কোথায়,
এখনো দেয়নি কেউ মন তার লাভক্ষতি গবেষণায়।
      এভাবেই চলছে চলুক, বাইনারি কথা বলুক, বাড়ি গিয়ে মিষ্টির সুখ, ইতিহাস জানে তার কতখানি দাম, তিতকুটে বর্তমানে বসে তবু করি মিঠে অতীতপ্রণাম।
কে জানে বন্ধুরা,  মানুষ নিজের কাছে পৌঁছোবে কবে ঘুরে এই ডিজিটাল পাক, আগামীতে যেতে যেতে বলে যাই সে আশায়,
আসছে বছর আবার হয়না যেন, মানুষের ছোঁয়া পেয়ে কিছু পাল্টাক।


আর্যতীর্থ