। বিশেষণ।


বিশেষণগুলোকে বড় ভয় পাচ্ছি আজকাল।
বিশেষ্যগুলো ওদের প্রভাবে কেমন যেন ভোল পাল্টে ফেলে,
লেজুড় না হয়ে, বিশেষণই শব্দের মালিক হয়ে ওঠে,
কদাচিত যেরকম অভিধানে মেলে।


সমর্থকের আগে গোঁড়া বসে গেলেই, পতাকার ক্রীতদাসেরা জন্মায়।
প্রশ্নবিহীন আনুগত্য বাস্তবকে দেখার ভঙ্গিমা পাল্টে এক অদ্ভুত অযুক্তি-জগৎ গড়ে,
যেখানে সমস্ত পোড়ার দাগ বিরোধীর অপরাধে হয়,
আর প্রিয় প্রতীকটি ভাজা মাছ উল্টাতে সর্বদা অস্বীকার করে।


প্রতিশ্রুতির আগে নির্বাচনী এসে গেলে একটা নিটোল মিথ্যেকথার রাজ্য তৈরী হয়।
গরীবি হটে না, সর্বহারার শেকল হারায় না, আচ্ছে দিনের স্বচ্ছতা ধুলোটে আস্তরনে ঢাকে,
তবু প্রতি বার, প্রতিটি প্রতীক এসে আশ্বস্ত করে, আগামীর বরদানে বেশি দেরি নেই।
ইস্তেহারের নাম পিনোচ্চিও হলে, নাসিকা লম্বা হয়ে এতদিনে ছুঁয়ে ফেলতো আকাশটাকে।


ভাবাবেগ যেই ধর্মীয়’র সাথে আসে,  ভক্তি ও উপাসনা মনে ভাসে না।
বরং শঙ্কা হয়, সিঁড়ির শ্যাওলা কেউ ঐতিহ্যের অজুহাতে সরাতে দেবে না মোটে,
অতীতের ধমকে একুশের দাবীকে দাবানোর এমন মোক্ষম বিশেষণ আর হয় না,
ভাব ও আবেগ নয়,  স্থবির কুসংস্কার চরৈবেতিক থেকে বড় হয়ে ওঠে।


ইদানিং ভয় করে।
ভয় করে খুব, একদিন বিশেষ্যগুলো পুরোপুরি চলে যাবে এইসব বিশেষণের দখলে।
লোকে মনে রাখবে না ওদের আলাদা কোনো মানে ছিলো বলে।


আর্যতীর্থ