। বিষণ্ণ ইতিহাস।


ওই যে বাড়ির সারি, মার্কেট , পাশ দিয়ে চলে গেছে রাস্তারা অনন্তের পথে,
ওখানে অতীতের রক্ত লেগে। ওই যে ভগ্নস্তুপ ভিনভগবানের উপাসনাস্থল,
ওদের ইঁটেরা জানে তাদের গায়ের লাল স্বাভাবিক নয়।দুই ঈশ্বরের যুদ্ধে, ওখানে মানুষের রক্ত পড়েছে।
ভেতরে ঢুকবে যদি ঝোপঝাড়কাঁটাদের এড়িয়ে সরিয়ে,
চারদিকে পোড়াদাগ পাবে। হে পথিক, ওই কালো চিহ্নরা,
কোনো দগ্ধ শরীরের ধর্মভিন্নতার এপিটাফ জেনো।


কার সে ধর্ম, কারা খুন করে ছিলো দল বেঁধে এসে,
বেলাগাম ধর্ষণে কারা নত করেছিলো আকাশের মুখ,
সেই নামগুলো রোজ পাল্টিয়ে চোখ মোছে বিমর্ষ ইতিহাস। এখানে ঘাতক যারা, সীমান্ত পেরিয়ে গেলে ওখানে তারাই শিকার,
নিমেষে হারিয়ে সব বিজাতীয় লাশ হয় প্রতিদিন লোক, সভ্যতা সংজ্ঞায় অভিধান  গিলে নেয় অসহায় ঢোঁক।


পৃথিবীও দেখে যায়, অনন্ত অবিমৃষ্যকারিতায়,
হোমো স্যাপিয়েন্স স্বজাতিকে করে যায় ভাগ,
সাদা কালো, আল্লাহ বা রাম, পৈতে ও দলিতের অবিরাম সংঘাতে শেষ অবধি রয়ে যায় ধর্মবর্ণহীন রক্তের দাগ।
ইষ্টের নাম নিয়ে লাশের ওপরে নাচে ভাইবোন মোছা বর্বর, ইতিহাস ঘুরে দেখে কোথায় ম্যাপের থেকে ভেসে আসে পোড়া মানুষের গন্ধ..


নিপাট নিরীহ মুখে কুলুপটি  কষে এঁটে, যথারীতি রাষ্ট্ররা সেজে থাকে অন্ধ...


আর্যতীর্থ