।বুড়ো আঙুল।


দলিত ছেলের বুড়ো আঙুল, আমায় তোমার গল্প বলো
একলব্য নিজেই কাটেন ,মিথ্যে এমন কে লেখালো।
যেই আঙুলে ছিলা টেনে, বাণ চালাতেন ধনুক ধরে,
ছদ্মগুরুর আদেশ শুনে , কাটেন তাকে কেমন করে?


বুড়ো আঙুল, যা শুনেছি সেটাই কেন সত্যি ভাবি,
যুগান্তরেও হয় দাবানো সমান সমান হওয়ার দাবী।
এখানে তো সমানও না , বাণচালনায় তিনিই সেরা,
অনার্যকে শ্রেষ্ঠ বলে মানবে কেন পান্ডবেরা?


হয়তো কুকুর ওদের হয়েই শুঁকছিলো কে অস্ত্র শানায়,
সারমেয় লাগায় কাজে চর হিসেবে সব জমানায়।
একলব্য বাণ চালিয়ে বন্ধ শুধু করেননি ঘেউ,
টের পেয়ে যায় হস্তিনাপুর, নিপুণতর তার থেকে কেউ।


কাজেই সদলবলেই আসা, ঘাপটি মারে কোথায় বুনো,
স্বায়ত্ত্বে যার ধনুক এমন,  দ্রোণের শিষ্য সবাই ন্যুন।
সেরা বীরের তকমাতে তো জন্মাধিকার ধনঞ্জয়ের
গর্বে যখন অনার্য ছাই, ব্যাপার তখন বিষম ভয়ের।


বুড়ো আঙুল, এবার বলো, তারপরে ঠিক ঘটেছে কী,
নিজে থেকেই আঙুল কাটেন, সেই কাহিনী বড্ড মেকি।
রাজ্য ছিলো হস্তিনাপুর, পান্ডব সেই রাজার কুমার,
মর্জিমফিক কাটলে আঙুল, বিরুদ্ধে তার বলবে কে আর।


সামনে রাখা মূর্তি গুরুর , বুদ্ধিমানের খুব চেনা ছক,
গুরুর খ্যাতির সুবাস বাড়ায় যুগ পেরিয়ে সেই ক্রীড়নক।
উচ্চবর্ণ মানেন কি আর  অনার্য কেউ ছাত্র হলে,
একলব্যের আঙুল কাটে, সিলিঙ থেকে রোহিত ঝোলে।


শ্রেষ্ঠ হওয়ার মুকুট পেতে আঙুল কাটা গায়ের জোরে,
ব্যাসদেবেরও হাত কেঁপে যায় লিখতে সেটা সাহস করে।
বুড়ো আঙুল, একলব্যের গল্প তোমায় বলতে ডাকি,
যুগান্তরের আঁধার ছেনে এবার তুমি বলবে তা কি?


চলছে জেনো কলির শেষেও আমার দেশে তেমন ফাঁকি।


আর্যতীর্থ