। ক্যাপ্টেন।


‘এ জাহাজ ডকে উঠে গেছে।
সারাই হবে না আর, ভাসবে না জলে।
ভাঙা মাস্তুল আর অক্ষম ইঞ্জিনে ,পুরোপুরি চলে গেছে বাতিলের দলে।
ওহে ক্যাপ্টেন! লগবুক স্তব্ধ হয়েছে।
রোজনামচায় আর অক্ষ-দ্রাঘিমা ঘিরে রোমাঞ্চ নেই, বিস্ময়হীন হয়ে অতীত ‘এখন’ ছুঁয়ে যাচ্ছে ভাবীতে।
সামনে দেখো, ওই পথে বাঁক নিলে বন্দর পাবে,
নবীনেরা প্রস্তুত ঢেউয়ে পাড়ি দিতে।
এ বুড়ো জাহাজে আর দম নেই নেভা চিমনির মুখে,
খামোখা দাঁড়িয়ে থেকে একা একা ভোগো কেন স্মৃতির অসুখে,
কিছুটা নাবিক দেখো এখনও রয়েছে পড়ে তোমার ভেতরে, ক্যাপ্টেন, সাগরে ফিরতে পারো নতুন জাহাজে, শুধু যদি পা রাখো ফের বন্দরে।’


‘এ জাহাজ জং ধরা আজ, ডেক জুড়ে ছিলো যত বাহারের কাজ,
সবই কামড়ে খেয়ে নিয়েছে সময়,
রেলিংয়ের চিকন বাহার কবেই পড়েছে খসে.
ঝকঝকে তকতকে কামরাগুলোয় থিতু আঁধারের বাস, ইঞ্জিনঘরে ভাঙা কব্জাতে ঢুকে, বিষণ্ণ সুর তোলে বিদায়ী বাতাস।
ভাসার আশা না থাকা জাহাজের বুকে,
ওহে ক্যাপ্টেন এখনও ঘুরতে থাকো কি ধনের লোভে?’


‘হে অর্বাচীন যুগ, শোনো নি কি ক্যাপ্টেন জাহাজের সাথে তার ডোবে?’


আর্যতীর্থ