। চাঁদ চাই।


কাগজে বিজ্ঞাপণ দেওয়া দরকার, টিভিতে রেডিওতে ঘোষণা করা প্রয়োজন,
এই দেশে আবার একজন চাঁদ সদাগর চাই।
ঈশ্বরী হুমকি ও বাধ্যতামূলক নতিস্বীকারের দাবীর বিরুদ্ধে যাঁর শিরদাঁড়া বিদ্রোহ করবে।
স্বধন ও স্বজন বিয়োগে যাঁর চোখ থেকে জল নয়, অবাধ্যতার আগুন বেরোয়,
সেই বণিক চন্দ্রধরকে কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারেন?


এই পোষমানা ভক্তির যুগে প্রতি গলির মোড়ে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন দেবতার,
রঙমাস্তানদের সুযোগী হুজুগ তেরোর জায়গায় তেত্রিশ পার্বণের জন্ম দিচ্ছে,
আর সেই গর্ভযন্ত্রণার মাশুল দিচ্ছে মুখচোরা পাড়াপ্রতিবেশী,
ভোট ছাড়া যাদের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই।
এ সময় একজন দৈবপরাঙ্মুখ সটান লোক দরকার,
মসনদের তোয়াক্কা না করে যে বলবে, ‘ সব পুজো উৎসব হয়না, আর সব উৎসব পুজো নয়!’
হেঁতালের লাঠি হাতে সাপতাড়ানো লোকটাই পারে এই ভূতের ওঝা হতে।


অবশ্য বেহুলাও চাই একজন, যার অদম্য জেদে মৃত বলে ঘোষিত গণতন্ত্র জেগে উঠবে।
কলার ভেলায় তো হুজুরেরা ভাসিয়ে দিয়েছেন বহুকাল হোলো,
বন্দরে বন্দরে ঠোক্কর খেয়ে ফেরে, মুখ ফিরিয়েছে তামাম হাকিম বৈদ্য,
চাঁদের মন পেতে কোন অলৌকিকে লৌকিকরা তাকে বাঁচায়,
সেটা দেখে যেতে পারলেই এই নাগরিকজীবন সার্থক হবে।


মানুষ যেভাবে বলবে ওপরওয়ালাকে সেটাই মানতে হবে,
সেকথা মানুষকে আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য,
চাঁদ বণিককে বড় প্রয়োজন আজকে।


তাঁর ঠিকানাটা কি কেউ বলতে পারেন?


আর্যতীর্থ