। দ্বেষবিভাজন।


রোজ কিছু কালো লোক,
বলে চোখে আলো রোখ,
আমরা যে গান গাই,
গা না তাই,  তালও ঠোক!
আমরা বোকার মতো,
তাই করি কার্যত,
যেন এই সুরে শোধ,
পূর্বজ ধার যত।
অথচ অমন ঋণ,
ছিলোই না কোনোদিন,
আমাদের ভাবনারা,
নয় ওদের পরাধীন,
যত কেউ বলে দিক ,
কেন মেনে নেবো ঠিক
আমরা অন্ধ নই,
নিজে চিনে নেবো দিক।


ওরা বলে যেই রঙ,
তাই মেখে সাজি সঙ,
আমাদের দায় যেন ,
চালু থাক সে ভড়ং।
একদিন চোখ খুলে,
জানলা পর্দা তুলে
দেখি ধর্মের চোটে,
পড়শি’কে গেছি ভুলে।
আমি যে মজেছি রামে,
প্রতিবেশী ইসলামে,
আজীবন সখ্যতা,
বেচেছি চওড়া দামে।
আমার কৃষ্ণ কালী,
বন্ধুর ইয়া আলি
পাশাপাশি ছিলো দেশে,
আজ মনে দ্বেষ পালি।


হঠাৎ এ কার দোষে,
চারদিকে সাপ ফোঁসে,
ভেঙে খান হলো কবে
শান্তি’র  স্বপ্ন সে,
সে সব প্রশ্নগুলো,
আজও কি জমাবে ধুলো,
পট্টি থাকবে চোখে,
হাত কি এতটা নুলো?
আঁধারের ভয় ঢুকে,
এতই কি গেছি ঝুঁকে,
ধর্ম থাকুক ঘরে
বলতে পারিনা মুখে?
আর কত খুন চাও ,
কথায় আগুন দাও,
ভেদাভেদ দূর করা
মশাল জ্বালাও,
ওরা দেয় রোজ গুল,
ভুলটাকে বোঝ ভুল,
জাগুন আবার দেশে
কাজী নজরুল।


আর্যতীর্থ